রাজশাহী প্রতিনিধি
নভেম্বর ২২, ২০২০, ০৫:২৫ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী সুজন (ছদ্মনাম) অপর শিক্ষার্থী তনিমা। দুইজনই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হওয়াতে প্রথমে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এরপর প্রেম। পরে দুজনই জড়িয়ে পড়েন শারীরিক সম্পর্কে।
একসময় সুজন তনিমাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন নতুন ঘর বাঁধার। বিয়ের প্রলোভন দেখাতে দেখাতে তিনি তনিমার সঙ্গে একাধিকবার খারাপ সম্পর্কে জড়ান। এরপর যা হওয়ার তাই হলো। গত আট মাসে দুবার গর্ভবতী হন তনিমা।
এদিকে এসব অভিযোগ এনে সুজনের নামে রাজশাহী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তনিমা। গত ১৪ নভেম্বর রাতে এ মামলা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন নগরীর মতিহার থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান।
আজ রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান। অভিযুক্ত সুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এই প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রী (তনিমা) জানান, ২০১৯ সালের আগস্টে সুজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মাসের এক সন্ধ্যায় তাকে ধর্ষণ করেন সুজন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে চাইলে সুজন তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
বর্তমানে তিনি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রয়েছেন জানিয়ে বলেন, এরপরও সুজন আমাকে আরও দুবার ধর্ষণ করে। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চে আমি একবার গর্ভবতী হই। তখন গর্ভপাত করাতে আমাকে বাধ্য করে সে। সবশেষ অক্টোবরে আমি ফের গর্ভবতী হই। এরপর থেকে সুজন আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না, বিয়েও করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শ্রাবণ। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার আগে সম্পর্ক ছিল। আমি ছাড়াও তার একাধিক ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাই আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে।
আমারসংবাদ/জেডআই