Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ৪, ২০২০, ১০:১০ এএম


ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

কুড়িগ্রামের রাজারহাট অন্তঃসত্ত্বা মায়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব ব্যাথার জন্য সরকার অনুমোদনবিহীন ধাত্রীর একাধিক ইনজেকশন পুশ করায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়ে। 

রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলায় গত ২৮ অক্টোবরে ল্যাব ওয়ান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার প্লাসে আলট্রা সোনোগ্রাম ফর প্রিগনেন্সি প্রতিবেদনে বাচ্চা প্রসবের তারিখ ছিলো ৩ ডিসেম্বর থাকলেও রিপোর্টের তোয়াক্কা না করে গর্ভপাত করার চেষ্টা চালিয়েছে ধাত্রী নাজমা বেগম। 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির মুসরুৎ নাখেন্দা গ্রামে। নিহত মালেকা বেগম জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী। 

এলাকাবাসীরা জানান, ইতোপূর্বেও এই ধরনের একাধিক ঘটনা রয়েছে ধাত্রী নাজমা বেগমের। মাতৃয়ত্যুর সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেছে মৃত অন্তঃসত্ত্বা স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর মালেকার প্রসব বেদনা না থাকা সত্ত্বেও পার্শবর্তী গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম নামের ধাত্রী আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকায় ৩-৪টি ইনজেকশন পুশ করে প্রসব বেদনা উঠার জন্য চেষ্টা চালায় ব্যাথা না উঠলে আবারো সন্ধ্যায় প্রসূতি মালেকা কে ঘরে নিয়ে আর কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করে। অতিরিক্ত ইনজেকশন পুশে প্রসূতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলে আবার স্বামীকে ঔষুধ ও এ্যাম্বুলেন্স ডাকার বলে এবং প্রসূতিকে হাসপাতালে নিতে হবে। হাসপাতালে যাবার পথে প্রসূতি নড়াচড়া না করলে স্বামী হতাশ হয়ে যায় পরে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ধাত্রী নাজমা বেগম বলেন, সেই দিন দুপুরবেলা প্রসব বেদনার জন্য ইনজেকশন পুশ করি এবং মুমূর্ষ অবস্থায় রোগীকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই সেখানে ডাক্তার আমি সব বলি আপনারা ওখান থেকে জেনে নিন। 

মৃত প্রসূতি মালেকা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের দাবি- আমার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর রহস্য জানতে চাই এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃকর্মকর্তা ডা. মো. আশাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে আমরা প্রাণের চিহ্ন পাইনি। এখানে বিস্তারিত তথ্য এন্ট্রি করেনি ধাত্রী, কর্তব্যরত ডাক্তারের ধারণা করেছেন অতিরিক্ত ইনজেকশন পুশ করায় ভীতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। 

নাজমা বেগম সরকারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী না এবং বর্তমান সরকার প্রসবের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোর দিয়েছেন এবং আমরা ডাক্তাররা সবসময় চাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসব হোক নিরাপদে।

আমারসংবাদ/কেএস