Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

‘সত্য কথা বলায় আমাকে পাগল উম্মাদ বলে’

জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০১:৩০ পিএম


‘সত্য কথা বলায় আমাকে পাগল উম্মাদ বলে’

দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অপরাজনীতি বন্ধ না হলে, সংশোধন না হলে আওয়ামী লীগেকে আগামী নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে। নির্বাচন এভাবে চলতে দেয়া যায় না।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে এক কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯১, ৯৬ ও ২০০৮ সালে দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এরপর আর সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীতে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় ২/৪টি আসন ছাড়া বাকী আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পালানেরা জন্য দরজা খুঁজে পাবে না। এটা বলাতে আমার অপরাধ।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমি যখন ভোট চুরির কথা বলি, আমি যখন গ্যাসের দাবি করি। আমি যখন দেশে ছেলেমেয়েদের চাকরির কথা বলি, আমি যখন শাহাদাত পর, হাবিবপুর গ্যাস ফিল্ডে সুন্দুলপুর লেখার প্রতিবাদ করি, আমি যখন নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলি, যখন টাকা নিয়ে পুলিশে চাকরির কথা বলি, স্কুলের পিয়ন থেকে টাকা নিয়ে চাকরির বিরুদ্ধে বলি তখন আমি পাগল, আমি উম্মাদ। আমি কি পাগল? আমি কি উম্মাদ?

তিনি আরও বলেন, আমি জানি শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন করবে। আমার নেত্রী থেকে আমার উপর কোন চাপ নেই, কিছু কিছু নেতা এলোমেলো কথা বলছে। নেত্রী সাহস করে সত্য বললে, সেটা পছন্দ করেন। শেখ হাসিনা উন্নয়ন করে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। একরাম চৌধুরী, নিজাম হাজারী বাড়াতে পারেনি। টিআর, কাবিখা সব খেয়ে ফেলতেছে। এদেরকে কি প্রশ্রয় দেয়া যায়? আমি নির্বাচনের পর শেখ হাসনিার সাথে দেখা করব। করোনার কারণে দেখা করতে না পারলে ঢাকা প্রেসক্লাবে যাব। আমি আপনাদের পরিবর্তন চাই। আপনি (একরামুল করিম চৌধুরী) চাকরি দিয়ে টাকা নিবেন, টেন্ডারবাজি করে টাকা নিবেন। তা হতে পারে না।

নিজাম হাজারী চোরাচালানী থেকে আরম্ভ সব কিছুর সাথে জড়িত। ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যার বিচার হয়নি। এটা দুঃখজনক।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে বাড়ি থেকে ভোটার নিয়ে আসবেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দুই ধরনের। একটা একরাম চৌধুরী তথাকথিত আওয়ামী লীগ।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি, এদেশের মানুষের ভোটের আর ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে কিন্তু ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটা করতে হবে। এটা আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়, শেখ হাসিনাই পারবে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। 

আমারসংবাদ/কেএস