Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

নুসরাত হত্যা: ফাঁসির আসামির মুক্তি চেয়ে আওয়ামী লীগের দোয়া!

ফেনী প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ১১:০৫ এএম


নুসরাত হত্যা: ফাঁসির আসামির মুক্তি চেয়ে আওয়ামী লীগের দোয়া!

ফেনীর সোনাগাজীতে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিনের কারামুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে এ আয়োজন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল জানান, এই ধরনের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি অবগত নয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, কর্মসূচিতে অংশ নেননি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনও নেতা।

হঠাৎ এই ধরনের কর্মসূচি কারা করেছে, কেন করেছে তা খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ওই দিন বিকেল ৪টায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান বাবু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ভুট্টো, মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল, জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন আরিফ ভূঞা, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক, বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন বাবুল, আমিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরু মেম্বার, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া ভূঞা, দীন মোহাম্মদ, মতিগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন টিপু ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী অংশ নেন। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন বাসস্ট্যান্ড মসজিদের খতিব মাও. মো. ওমর ফারুক।

এ সময় বক্তারা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন নির্দোষ, তিনি স্ব-দলীয়দের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা তার নিঃশ্বার্ত মুক্তি কামনা করছি। আমরা বিশ্বাস, করি তিনি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকাপরা পাঁচজন। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাত মারা যান।

একই বছরের ২৪ অক্টোবর নুসরাত জাহান রাফিকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের ফাঁসির রায় দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ।

আমারসংবাদ/জেআই