Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বাঘায় আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষ, আহত ১৩

বাঘা প্রতিনিধি (রাজশাহী)

জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ১২:২০ পিএম


বাঘায় আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষ, আহত ১৩

রাজশাহীর বাঘার আড়ানী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঐতিহাসিক তাল তলায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাটাখালি পৌরসভার নবাগত মেয়র আব্বাস আলীর উস্কানি মূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় লোকজন। 

এসময় উভয় পক্ষ থেকে প্রায় ছয় রাউন্ড পিস্তলের ফাঁকা গুলি এবং ৮-১০টি ককটেল বিস্ফরণ হয় বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহত হন, বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীসহ প্রায় ১৩ জন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা ও চারঘাট সার্কেলের সিনিয়ার (এএসপি) নুরে আলম র‌্যাবের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। 

আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদ জানান, তাঁর পক্ষে আহত হয়েছেন তুষার আলী ও লাল্টু। এদের দু’জনকে পাশ্ববর্তী পুঠিয়া স্বাস্থ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। অপর দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর পক্ষে আহত হয়েছেন মুক্তার আলী নিজে, তার কর্মী নাজমুল হক, রানা, বকুল, মজনু, খোকন, ফারুক, জিসান, হৃদয়, জাহিদ, রাজু ও আরিফুল। এদের মধ্যে  নাজমুলের অবস্থা গুরুত্বর। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮ টার সময় প্রায় পাঁচ শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে আড়ানী বাজারের ঐতিহাসিক তাল তলায় এক পথ সভায় উস্কানি মূলক বক্তব্য রাখছিলেন রাজশাহীর কাঠাখালি পৌর সভার নব-নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।এই দলের বাইরে কোন ভোট হবে না। বিদ্রোহীকে বহিস্কার করা হয়েছে। সুতারাং আপনরা তাকে  ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। 

এ সময় রাস্তার উত্তর দিক থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর ৮-১০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে গণসংযোগ করে তার কার্যালয়ে ফিরছিলেন। আকস্মিকভাবে তাদের দেখে পেছন থেকে ‘ধর-ধর’ করে ইট নিক্ষেপসহ ধাওয়া করে শহীদের লোকজন। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ফের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এতে করে রাস্তার ধারে বসা সবজি ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। ভাংচুর হয় দুই দলের অফিস কার্যালয়। ঘটনার এক পর্যায়ে মুক্তার আলী পক্ষে হাজার হাজার লোকবল লাঠি-সোটা নিয়ে পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। 

অন্য দিকে উত্তর পাশে খ্যাপা বাবার আশ্রম এলাকায় অবস্থান নেয় দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদের কর্মী-সমর্থকরা। এদিক থেকে মুক্তার আলীর জনসমর্থন ছিল অনেক বেশী। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণাত প্রশাসনের লোকবল না এলে অনেক বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।
 
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন সহ পুলিশ এবং র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। রাতে মুক্তার আলীর পক্ষের মিলন নামে এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আমারসংবাদ/এমএ