বদরগঞ্জ প্রতিনিধি (রংপুর)
জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ১২:১০ পিএম
রংপুরের বদরগঞ্জে চতুর্থ এক শ্রেণির ছাত্রী (১২) যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের উত্তর বাওচন্ডী কচুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশি আজিজুর রহমানের ছেলে পারভেজ (২৫) মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার।
মেয়েটির বড় ভাই অভিযোগ করে বলেন, পারভেজ সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই, তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী তিন দিন আগে বাবার বাড়িতে গেছে। সকালে পারভেজ (২৫) তার বোনকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ওই বাড়িতে খোঁজতে গেলে তার (পারভেজের) দরজা বন্ধ পান। এরপর দরজায় ধাক্কা দেন, কিন্তু খোলে না। পরে দরজা খুলে তার বোনকে বের করে দেন পারভেজ। বাড়িতে এসে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কথা বলতে না পারার মতো অবস্থায় না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
দুপুর ১টায় দেখা যায়, মেয়েটির মা বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েটিকে ধরে কান্না করছেন। তখনও মেয়েটি কোনো কথা বলতে পারছে না। হাটতেও পারছে না। শুয়ে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটির মা অভিযুক্ত পারভেজের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, মেয়েটির জ্ঞান রয়েছে। তবে সে কথা বলছে না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নাজমুল হুসাইন বলেন, যেহেতু মেয়ের পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলছেন, সেহেতু এখানে তো পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই মেয়েটিকে রংপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রনয় চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে দুপুর দেড়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তারা (পরিবার) ধর্ষণ চেষ্টার কথা বলছেন। তবে মেয়েটি কথা বলতে পারছে না। মেয়ের বাবাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে । তিনি যেভাবে এজাহার দিবেন সেভাবেই নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত পারভেজ স্থানীয় একটি ইটভাটার শ্রমিক বলে জানা গেছে। তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আমারসংবাদ/এমএ