Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

৩ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আরেক স্ত্রীর জন্য ভোট চাইছেন তিনি

বগুড়া প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২০, ২০২১, ১১:৩০ এএম


৩ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আরেক স্ত্রীর জন্য ভোট চাইছেন তিনি

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে চার স্ত্রীর মধ্যে তিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আরেক স্ত্রীর জন্য ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা এলাকার আব্দুস সামাদ মাস্টার। পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন তার তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগম।

জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ তার স্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। যে কোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়- সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগমই হবেন সেই প্রার্থী। এরপর সিদ্ধান্ত হয়- জয় পেতে তিন সতীন এক সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। তবে এতে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। মাজেদা বেগম বর্তমানেও ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। গতবারও একইভাবে প্রচারণা চালিয়ে তারা ভোটারদের মন জয় করেছিলেন।

জানা গেছে, মাজেদা বেগম ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তারা তিন সতীন মিনু বেগম, রেনু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আব্দুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন।

বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার ফজলুর রহমান (৪৫) বলেন, সতীন মানেই যে খারাপ কিছু নয় তা আব্দুস সামাদের স্ত্রীরা  প্রমাণ করেছেন। তাদের এই তিন সতীনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী।

মিনু বেগম বলেন, আমাদের আলাদা আলাদা হাঁড়ি। কিন্তু সবাই আপন বোনের মতো । শুধু ভোট নয়, সকল সুখে-দু:খে আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়।

মাজেদা বেগম বলেন, সতীন মানেই মনে করা হয় শত্রু। কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতীনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবো।

আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারে। আর তাদের এই মধুর সম্পর্কের কথা ভোটারেরা জানতে পেরে সকলেই অনেক খুশি।

আমারসংবাদ/জেআই