ঘোড়াঘাটে পতিতাবৃত্তি ও মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে চার পতিতা সহ মাদক সেবনের অপরাধে আরো ছয়জন মাদক সেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও বাল্যবিবাহের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আট জনকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম।
গ্রেপ্তার চার পতিতা হলো, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮), নীলফামারী সদর উপজেলার বসুনিয়া কুখাপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে তমালিকা আক্তার খুশি (২১), নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার (দক্ষিণ ওয়াবদা) গ্রামের কানা উল্লার মেয়ে রানু বেগম (২৪) এবং রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার চরমচ চর্ণুয়া গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে ঝর্ণা বেগম (২৫)।

পুলিশ জানায়, রাজিয়া সুলতানা একজন পতিতা ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাড়িতেই এই ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে পতিতা নারীদেরকে নিয়ে এসে সে এই ব্যবসা করে। তার বাড়িতে বেশ কয়েকজন পতিতা আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তার বাড়ি থেকে রাজিয়া সহ মোট চারজন পতিতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় রাজিয়ার বাড়িতে থাকা কয়েকজন খদ্দের পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী সহ একজন মাদক সেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলো, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হরিপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৮), শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মন্ডলের ছেলে শাফিউল ইসলাম (৩৫), ভেলাইন গ্রামের মোফাজ্জল প্রধানের ছেলে কবিরুল ইসলাম (৪৬), কুলানন্দপুর গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪২) এবং একই এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমান মওলা (৩০)।
ঘোড়াঘাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার চার পতিতার বিরুদ্ধে মানব পাঁচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আজ শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমারসংবাদ/এমএ