Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

গৃহহীনদের ঘর পেলেন ৯ বছরের সংসদ সদস্য

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৩, ২০২১, ১১:৩০ এএম


গৃহহীনদের ঘর পেলেন ৯ বছরের সংসদ সদস্য

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমি ও ঘর পেয়েছে ২০০ পরিবার। এদের সঙ্গে ভূমি ও গৃহহীন প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন গফরগাঁও আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়া।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গৃহ হস্থান্তর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল সাবেক সাংসদ এনামুল হক জজ মিয়াকে জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, এনামুল হক জজ মিয়া বিগত এরশাদ সরকারের আমলে প্রায় ৯ বছর গফরগাঁও আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পারিবারিক কারণে টাকা-পয়সা ও সম্পদ নষ্ট করে ফেলেন। বর্তমানে উপজেলার সালটিয়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। সাবেক সাংসদ এনামুল হক জজ মিয়া সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি গৃহের আবেদন করেছিলেন।  

এনামুল হক জজ মিয়া বলেন, আমার এই দুঃসময়ে জমিসহ ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল করুক।

সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুল, খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় করণে সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়ার অবদান রয়েছে। তার জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, পৌর মেয়র এসএম ইকবাল হোসেন সুমন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাবেরী রায়।

প্রথম দফায় দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের মাঝে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দিয়ে বিশ্বে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মাসে আরও ১ লাখ পরিবার বাড়ি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এই কাজ করছে। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে, তারা শুধু ঘর পাবে। যাদের জমি নেই, তারা ২ শতাংশ জমি পাবে (বন্দোবস্ত)। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট থাকছে। টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে।

আমারসংবাদ/জেআই