Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

কিবরিয়া হত্যা: চিকিৎসকসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

সিলেট ব্যুরো

জানুয়ারি ২৭, ২০২১, ০১:৫৫ পিএম


কিবরিয়া হত্যা: চিকিৎসকসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি সরওয়ার চৌধুরী আবদাল। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। একইসাথে বুধবার এই হত্যাকান্ডের ১৬ বছর পূর্ণ হলো।

বুধবার আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন শাহ এ এমএস কিবরিয়ার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো আব্দুল্লাহ, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রহমত আলী, আব্দুল মতিন ও ইমান আলী। আগামী ৩ মার্চ এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার আসামির মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলাটি তিন দফায় তদন্ত করে সিআইডি। প্রথমদফায় ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে না-রাজি আবেদন করেন বাদী মজিদ খান। পরে ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য ফের সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া এই অভিযোগপত্রের উপরও না-রাজি আবেদন করেন।

সবশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে নানা অজুহাতে এই আদালতেও বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে মামলার কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়াজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেণেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন।


আমারসংবাদ/এমএ