Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

চরফ্যাশনে মামলা চলমান অবস্থায় হাসপাতালের নামে জমি দখলের পায়তারা    

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০২:১৫ পিএম


চরফ্যাশনে মামলা চলমান অবস্থায় হাসপাতালের নামে জমি দখলের পায়তারা    

ভোলার চরফ্যাশন আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতালের নামে রেকর্ডীয় অন্যের জমি দখলের পায়তারা চলছে৷ 

এ ব্যাপারে গত ১৯ জানুয়ারি ২১ তারিখে জমির প্রকৃত মালিকানা দাবি করে আবু জাহের তালুকদার বাদি হয়ে চরফ্যাশন যুগ্ন জজ (২য়) আদালতে মোঃ মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন, দিলারা বেগম, মোস্তাফিজুর রহমান ও নাজমা বেগমকে বিবাদী করে ১৮-১-২১ তারিখে পৃথক ৪ দলিলে ৩৫.৫০ শতাংশ জমির দলিল বাতিলের জন্য দেওয়ানী ৫৫-২০ইং মোকদ্দমা দায়ের করেন। 

বিরোধীয় জমিতে গত ২৬ জানুয়ারি বিবাদীরা প্রভাব বিস্তার করে জমি নিয়ে চলমান মামলা গোপন রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দিয়ে চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের নামফলক  উম্মোচনে বাধ্য করায়।
 
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যের কাছে মামলার সকল কার্যক্রম গোপন রাখা হয়েছিল৷ 

এরপর বিরোধীয় জমিতে জোড়পূর্বক পাকা স্থাপনা বন্ধে মামলার বাদি আবু জাহের তালুকদার বৃহস্পতিবার (২৮  জানুয়ারি) চরফ্যাশন যুগ্ম জজ আদালতে আদেশের জন্য একটি আবেদন করেছেন৷ 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বরিশাল ২য় সাব জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা ২৩৭-৫৯ ইং সনে মুকবুল আহম্মেদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টার কে বিবাদী করে সন্তোষ কুমার গং রা বাদী হয়ে ১৫ একর ০৭ শতাংশ জমি ৩০-৯-৫৯ ইং সনে ২৩৭-৫৯ ইং মোকাদ্দমায় চূড়ান্ত রায়ে ডিগ্রী অনুবলে মুকবুল আহম্মদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টারের নামে ৫৪ ধারায় ৩৫৭১এফ-৫৯ মিসকেইচে বিগত ২রা জানুয়ারি ১৯৬১ সনে এস,এ ২৮০ নং খতিয়ানে ১৫ একর ৭ শতাংশ জমি আট আনা অংশ হারে মুকবুল আহম্মদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টারের নামে রেকর্ড হয়। 

এর মধ্যে এলএ কেইসে ৪৭- ৬৪-৬৫ ইং সনে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পাউবির নামে একুজেশনের পরে ৩ একরের জমির টাকা মুকবুল আহাম্মদ খান ৩০-০২-৬৬ ইং তারিখে ৯০৮১ নং চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন৷ উক্ত জমির ১৯৬০ সনে  মুকবুল আহম্মদ খান ৩টি সাফ কবলা দলিলে ২ একর জমি নিজাম উদ্দিন গং দের নিকট  বিক্রি করে। এবং আরও কিছু দলিলে তিনি ও তার ওয়ারিশগন বাকি জমি বিক্রি করে নিঃশর্তবান হয়ে যায়। 

মকবুল আহাম্মদ এর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জয়গুন বিবি কে ১৫.০৭ একর জমির মালিক দাবি করে৷ 

মামলার বাদি আবু জাহের তালুকদার বলেন, উক্ত জমির মালিকানা স্বত্ব নেই মুকবুল আহম্মদ খানের কোন ওয়ারিশদের৷ তাছাড়া আমাদের বিক্রিত জমির দলিল ও মিজান দিলারা গং দের আগের। 

অপরদিকে এই জমির এ ভুয়া দলিল এর সকল দাতাগন ২০০৭.২০০৮ ও ২০০৯ সালে হাসেম মাস্টার এর  ওয়ারিশদের নিকট থেকে ৩টি দলিলে কিছু জমি খরিদ করেন। 

তারা কি করে অন্য কাউকে এ জমির মালিক দাবি করে? মামলার পরে অতি সম্প্রতি প্রধান বিবাদি নজরুল ইসলাম খান মিন্টু মারা যাওয়ার পর উক্ত জমিতে অন্যান্য বিবাদি তৎপর হয়ে ওঠে৷ 

পরে গত ২৬ জানুয়ারি চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি নামফলন উন্মোচন করে বিরোধীয় ও চরফ্যাশন আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় কিছু ক্ষমতাশীন ব্যক্তির ছত্রছায়ায় জমি দখলের অনর্থক পায়তারা চালাচ্ছে বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন৷

আমারসংবাদ/কেএস