ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১, ১১:২০ এএম
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেমে সাড়া না পেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম সাহেব আলী (৫০)। সাহেব আলী উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের জোসু প্রামানিকের ছেলে।
প্রায় দুই মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ধুনট থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যমুনা নদীর মাধবডাঙ্গা বাঁধে আশ্রিত বাস্তুহারা পরিবারের মেয়েটি স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
মেয়েটিকে প্রতিবেশী সাহেব আলীর ছেলে লিমন মিয়া (২৬) প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত মেয়েটি বখাটে লিমনের প্রেমে সাড়া দেয়নি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে বখাটে লিমন। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়েটি লিমনের বাবাকে জানানো হয়। কিন্ত ছেলেকে শাসন করতে পারেনি সাবেহ আলী।
গত ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটি তার পড়ার কক্ষের বিছানায় একাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই ঘরের পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল মেয়েটির মা-বাবা।
ওই দিন রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েটির ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে লিমন। একপর্যায়ে লিমন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন লিমনকে আটক করে। পরে বিচার দেওয়ার কথা বলে লিমনকে ওই বাড়ি থেকে ছেড়ে নেয় লিমনের বাবা সাহেব আলী।
কিন্ত এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে ধর্ষণের মা বাদী হয়ে ২৮ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় লিমন মিয়া ও তার বাবা সাহেব আলীকে আসামি করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
আদালতের আরজিটি বুধবার সকালে ধুনট থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ৮ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের আদেশে মামলাটি রেকর্ডের পর এজাহারভুক্ত আসামি সাবেহ আলীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আমারসংবাদ/এআই