Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

এক গাছের ডালে ঝুলছিলো পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা

তাজউদ্দীন আহমদ (রিপন), কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১, ০৯:২০ এএম


এক গাছের ডালে ঝুলছিলো পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক গাছের ডালে ঝুলন্ত দুই নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের একটি আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

মারা যাওয়া নারী ফাতেমা বেগম (৪০) উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আহসানের স্ত্রী এবং যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।

পরকীয়া প্রেমঘটিত কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় ফাতেমার সঙ্গে যুবক করিমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাতে ফতেমার সাথে আম বাগানে যুবক করিম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ফাতেমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাদের মারপিটে ফাতেমা এবং করিম মারা যান। ঘটনা আড়াল করতে আত্মহত্যার প্রচার করা হচ্ছে।

তবে পুলিশ বলছে, এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যার ঘটনা। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সকালে ফাতেমা বেগমের শ্বশুর শেখ আব্দুল হাই আমাকে ফোন করে জানায় আমার বাড়িতে দুইজন আত্মহত্যা করেছে, থানা পুলিশে খবর দাও। আব্দুল হাইয়ের ছেলে শেখ আহসান বাক প্রতিবন্ধী। প্রেমঘটিত কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

ফাতেমা বেগমের ছোট জা সানজীদা জানান, আহসানের সাথে ফাতেমার ২৫ বছর বিয়ে হয়েছে। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনও কোন সমস্যা দেখিনি।

আহসানের বোন মাকসুদা জানান, ভোরে আহসান নামায পড়তে যাওয়ার সময় বাড়ির ৫০ গজ দ‚রে একটি আম গাছে তাদের মরদেহ ঝুলতে দেখে চেঁচামেচি করতে থাকে। পরে বাড়ির লোকজন গিয়ে তাদের মরদেহ ঝুলতে দেখে।

কিন্তু করিম পাড় সম্পর্কে কোন তথ্য তারা দিতে পারেননি।

প্রতিবেশীরা জানান, ছেলেটার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও মেয়েটা এখানকার গৃহবধ‚। এই জায়গায় কিভাবে ছেলেটা এলো, আর কিভাবে কি হলো, তা রহস্যজনক। মরদেহ দু’টি যেভাবে গাছের ডালে ঝুলেছিল তা দেখে অনেকেই আত্মহত্যার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি যথাযথ তদন্তের দাবি জানান তারা।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে সেটির কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যুবকের শরীরে আমরা কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবে গৃহবধূর মুখে ও গলায় আঁচড়ের দাগ রয়েছে। মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

আমারসংবাদ/এআই