Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

কুলাউড়ায় কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধন

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১, ১০:৫৫ এএম


কুলাউড়ায় কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধন

কুলাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকাদানের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। প্রথমদিনে নিবন্ধনকৃত ২৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে টিকা দেয়া হয়। 

এরমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হক প্রথম টিকা গ্রহণ করেন। 

এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডাঃ কমল রতন সাহা, ডাঃ মৃণাল কান্তি সেন, কুলাউড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকির হোসেন, মেডিকেল অফিসার আবু বকর খান নাসের রাশু, কুলাউড়ার প্রবীণ শিক্ষাবিদ আব্দুল বাসিত চৌধুরী ও তাঁর সহধর্মিণী, কৃষি ব্যাংক কুলাউড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক বেলাল আহমদ চৌধুরী, প্রিন্সিপাল অফিসার মোশতাক আহমদ, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ আরো ১০ জন সিএইচসিপি কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণ করেন।

টিকা গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডাঃ নুরুল হক বলেন, মহান আল্লাহ পাকের নিকট হাজারো শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যে, প্রথম টিকা গ্রহণ করে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। 

বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীকে যার উদ্যোগে সমগ্র বাংলাদেশে সর্বস্তরের লোকজনদের টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদান নিয়ে অনেকে গুজব ও অপপ্রচার চালিয়েছিলো কিন্তুু আমি টিকাগ্রহণ করার পর নিয়মঅনুযায়ী আধাঘন্টা অপেক্ষা করেছি। 

কোনোরকম সমস্যা অনুভব করিনি বা আমার শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। আমি সম্পূর্ণরুপে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছি। আমি অনুরোধ করবো সকলকে যাতে করে কোনপ্রকার গুজবে কান না দিয়ে সবাই টিকাগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং সরকারের দেয়া এই টিকা বিনামূল্যে গ্রহন করবেন।

প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছিত চৌধুরী (৮০) বলেন, আমার স্ত্রীসহ পরিবারের চারজন সদস্য একত্রে হাসপাতালে এসে টিকাগ্রহণ করেছি। আমার কোন সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  দেখা দেয়নি। ভ্যাকসিন টিকা গ্রহণ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি সহ পরিবারের সবাই সুস্থ আছি। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

কুলাউড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টিকাদানের জন্য হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় দুটি বুথ রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি বুথে দুইজন দক্ষ টিকাদানকারী ও চারজন করে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি। 

এখন পর্যন্ত কুলাউড়া থেকে ৭৮৫ জনের অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমধাপে সর্বমোট সাড়ে ৫ হাজার লোককে এই টিকা দেয়া হবে। এবং প্রত্যেককে আগামী ৮ সপ্তাহ পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। সোমবার ৫০ জনকে টিকা দেয়ার জন্য টার্গেট ধরা হয়েছে।

আমারসংবাদ/এআই