ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১, ০৬:২০ এএম
দেখতে লাল আপেলের মতো। চেহারা সুন্দর, স্বাদেও বেশ মিষ্টি। নাম বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল কুল। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এগুলো কাশ্মীরি আপেল কুল হিসেবেই পরিচিত। গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে কুল। পুরো বাগান যেন লাল-সবুজের সমারোহ।
এদৃশ্য ফরিদপুরের এক নৈশপ্রহরীর কুল বাগানের।
নাম তার ফারুক মোল্লা। বিদ্যালয়ে রাতে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। দিনে পুরোটা সময় পরিশ্রম করেন তার কুল বাগানে। এতে তিনি পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। একসময় মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অভাব-অনটনের পরিবারে ছিল হতাশার সুর। এই কুলের বাগান এনে দিয়েছে সুখের আলো।
ফরিদপুর জেলা সদরের পৌরসভার নবগঠিত ৪ নং ওয়ার্ডের মহারাজপুর এলাকার যুবক, ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী মো. ফারুক মোল্লা তার কুল বাগানে কাশ্মীরি আপেল কুলের ব্যাপক ফলন পেয়েছে।
ফারুক মোল্লা জানান, আগে বিদ্যালয়ে রাতে নৈশপ্রহরীর কাজ শেষ করে দিনের বেলায় ইজিবাইক চালাতাম।
কিন্তু শহরে ইজিবাইক বেড়ে যাওয়ায় রোজগার কমে যায়। তখন পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের বাল্যবন্ধু কুল চাষী সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ৬০০ কাশ্মীরি আপেল কুল ও ৪০০ বল সুন্দরী কুলের চারা এনে ২ একর জমিতে চাষ শুরু করি।
প্রথমবারের মতো কাশ্মীরি আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুল চাষ করে গত সাড়ে ৯ মাসেই আমি এগুলো বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছি। আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এই কুলের চাষ করবেন তিনি জানান। এবার কুল বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা তার।
স্থানীয় কৃষি কমকর্তা মো. আজাদ হোসেন জোদ্দার জানান, সূর্যের আলো ও যেখানে পানি জমতে না পারে এমন জমিতে কুল বাগান ভালো হয়। যে বাগানে যত বেশি রোদের আলো লাগবে সেই জমির কুল বেশি মিষ্টি হবে।
৫ থেকে ৬ হাত দূরত্বে গাছের চারা রোপণ করতে হয়। তুলানামূলক রোগ-বালাইও কম। নতুনভাবে কেউ যদি কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান করেন এবং পরামর্শ চান তাকে অবশ্যই সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আমারসংবাদ/এআই
