ঢাকা
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,
বেলাল হোসেন, রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ১১:৪০ এএম
রাজু আহমেদ। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার বিরামপুরে। তার বাবার নাম আশরাফুল ইসলাম। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাজু বড়। সে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো।
প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে রাজুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। হঠাৎ রাজু জানতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অন্যস্থানে।
খবর পেয়ে সেদিনই রাজধানীর কর্মস্থাল থেকে প্রেয়সীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় আসেন প্রেমিক রাজু আহমেদ (২৭)। কিন্তু কোনোভাবে বিয়ে ঠেকাতে পারেননি তিনি। ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই আবারও ঢাকার উদ্দেশে ফেরার কথা ছিল রাজুর।
কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না রাজুর। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রিজের নিচে থেকে রাজু আহমেদের লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ।
প্রেমের টানে রাজুর কুড়িগ্রাম আসার এসব তথ্য জানা গেছে রাজুর বন্ধু নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মোফাজ্জল হোসেনের কাছে। এর আগেও রাজু কুড়িগ্রাম এসে ফিরে গেছেন। একবার তার পরিবারের লোকজন তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান মোফাজ্জল হোসেন।
রাজুর বাবা জানান, প্রেমের কারণে রাজু এর আগেও কুড়িগ্রাম গিয়েছিল। একবার আমরা তাকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু এবার কবে গেছে তা আমরা জানতাম না, আমাদের কিছু বলেনি। কুড়িগ্রাম থেকে রাজুর এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ছেলের মরদেহ নেয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছেন বলেও জানান রাজুর বাবা।
রাজুর বন্ধু মোফাজ্জল হোসেন জানান, যে তরুণীর সঙ্গে রাজুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি তার বিয়ে হয়। এ জন্য রাজু মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিল। গত রাতে তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কীভাবে তার মৃত্যু্ হলো তা আমরা জানি না।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, 'ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুরর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিচয় সহ তার মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে আমাদের পুলিশ কর্মকর্তাগণ তদন্ত করছেন।
আমারসংবাদ/এআই
