Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

হবিগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত!

জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল (হবিগঞ্জ)

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ১১:২৫ এএম


হবিগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত!

হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাগান বাড়ি নামক স্থানে হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টারদিকে উপজেলার বাগান বাড়ি নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক তোফায়েল আহমেদ(২২) যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো। এমতাবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের একটি গাড়ি সিএনজিকে ধাওয়া করে।

এসময় চালক তোফায়েল আহমেদ দ্রুত গতিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে পিছন থেকে হাইওয়ে পুলিশের একটি গাড়ি সিএনজিকে ধাক্কা মারলে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে খাদে পড়ে যায়।

এতে সিএনজি চালক তোফায়েল আহমেদের ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত সিএনজি চালকের নাম তোফায়েল মিয়া (২২)। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।

এসময় আহত হয় ৩ যাত্রী হয়েছেন। তাদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে অটোরিকশা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায়  তিন ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল প্রায় ১১টার দিকে নিহত তোফায়েল আহমেদ যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিকশা (নং- হবি-থ-১১-৭৪৪৮) নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বাহুবল বাজারে আসার পথে উপজেলা সদর সংলগ্ন বাগান বাড়ি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশের ব্যারিকেড দ্রুতগতিতে অতিক্রম করে। 

এসময় হাইওয়ে পুলিশের একটি দল পুলিশভ্যান নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। পয়েন্ট থেকে কয়েকশ' ফুট সামনে আসার সাথে সাথে পুলিশভ্যান ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এদে অটোরিকশাটি ধুমড়ে মুচড়ে উল্টে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই চালক তোফায়েল মারা যায়। 

গুরুতর আহত হয় অটোরিকশার ৩ যাত্রী। তারা হলেন দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র আজগর আলী (৬০) একই গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী মাসুদা আক্তার (৩৫) এবং হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী মুসলিম উদ্দিন (৪০)। আহতদের প্রথমে বাহুবল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল বাজার থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে দেয়। এসময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তার মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্তনা দিয়ে অবরোধ তোলে দেয়া হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, পুলিশের দাবি মামুন পরিবহনের একটি বাস সিএনজিকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়, পিছনে হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি থাকায় হাইওয়ে পুলিশের গাড়িকে দায়ী মনে করছে শ্রমিকরা।

আমারসংবাদ/এআই