Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

সখীপুরে গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

আমিনুল ইসলাম, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৭:৪০ এএম


সখীপুরে গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

টাঙ্গাইলের সখীপুরে গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন। 

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরো বাড়ছে। চলতি বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি। আমচাষি এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

আমচাষি দেলোয়ার হোসেন (আম দেলু) আমার সংবাদকে জানান, চলতি বছরের আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূলে রয়েছে। গত বছরের চেয়ে টানা শীত ও কুয়াশার তীব্রতা এ বছর অনেক কম। গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টিও হয়নি। 

এরমধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফাল্গুনের মধ্যে উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। তবে মাঝে-মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে উঠছে। এসময় শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে। 

এর উপর সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।

আরেক আমচাষি মন্টু রবিদাস জানান, আমের জন্য এখন আর অফ ইয়ার বা অন ইয়ার নেই। বছরজুড়ে গাছের পরিচর্যা করার কারণে এখন প্রতি বছরই আমের ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আমি ৩০ একর জমিতে আম বাগান করছি। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন। 

এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যেত বলে জানান এই আমচাষি।

সখীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো.আনিছুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ধান-চাল বা অন্য ফসলের মতো আম উৎপাদনের কোনো লক্ষ্যমাত্রা কৃষি অধিদফতরের কাছে থাকে না। 

তবে সখীপুরে ২৪০ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। আগামী বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চল থেকে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিকটন  আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা করা যাচ্ছে। 

সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.নূরুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, সখীপুরের মাটি আম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আশা করছি চলতি মৌসুমে আম চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে।

আমারসংবাদ/এআই