সাব্বির হোসাইন আজিজ, মাদারীপুর
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৫:৫৫ এএম
মাদারীপুরে ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (২৮ ফেব্রোয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত। এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ও নজরদারি। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্র জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বারের মতো ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাদারীপুর পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ২১টি ভোটকেন্দ্রে ৫১ হাজার ৭শ' ৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৪ হাজার ৭২৩ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৭৫৫ জন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী খালিদ হোসেন ইয়াদ ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী জাহান্দার আলী জাহানসহ মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সরকারি কলেজ মাঠ থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে বুঝিয়ে দেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা তা পৌঁছে দেয়া হয় ভোটকেন্দ্রগুলোতে। ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রেকে ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নজরদারি। প্রথমবারের মতো মাদারীপুর পৌরসভায় হচ্ছে যাচ্ছে ইভিএম'এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ বাচ্চু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন নৌকার প্রার্থী খালিদ হোসেন ইয়াদ।
অন্যদিকে সকাল সোয়া ৮টায় আল জাবির হাই স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী জাহান্দার আলী জাহান। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশবাদী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী। প্রথমবারের মতো ইভিএমএ ভোট হওয়া নিয়ে একটু বিলম্ব হলেও নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব বলে মনে করেন রিটার্নিং অফিসার।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন আনসার সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সদস্যদের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া মোতায়েন রয়েছে দুই প্লাটুন বিজিবি। পাশাপাশি একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।
এদিকে ৯টি ওয়ার্ডের ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২, ৬, ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ডের ৯টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
আমারসংবাদ/এআই