Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রেমিকের হাতেই খুন মাদ্রাসা ছাত্রী আফিয়া: পিবিআই

তারেক পাঠান,পলাশ (নরসিংদী)

মার্চ ১, ২০২১, ০২:১০ পিএম


প্রেমিকের হাতেই খুন মাদ্রাসা ছাত্রী আফিয়া: পিবিআই

নরসিংদীর পলাশে ১২ মাস আগে মাদ্রাসা ছাত্রী আফিয়া (১৬) হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উৎঘাটন ও প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নানের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নিহত আফিয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আজাহার আলী  আলীর মেয়ে। 

পিবিআই বলছে, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ পলাশ থানার থানায় মামলা নং ১৫ ও রহস্য উৎঘাটন করতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সর্বশেষে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুর মহানগর এলাকায় কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় স্বপ্নপুরী মার্কেট এর সামনে থেকে আফিয়ার প্রেমিক আসামি মোঃ রাসেল (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের পর স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাসেল। ঘাতক রাসেল ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার আগলা খানহাটি গ্রামের আবদূল রহিমের ছেলে।

পিবিআই তদন্তে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে আসামি রাসেল পলাশ থানাধীন গজারিয়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার নতুন বিল্ডিং ভবনের কনষ্ট্রাকশন রাজমিস্ত্রী হিসেসে ঘটনার দুই বছর পূর্ব হতে শ্রমিকের কাজ করছিল। আর আফিয়া (১৬) উক্ত মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। মাদ্রাসার পাশে আফিয়ার বাড়ি হওয়ার সুবাধে রাসেল আফিয়ার সাথে পরিচয়, প্রেমের সম্পর্ক ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। 

এছাড়া আফিয়ার সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় রাসেল একই গ্রামের মাদ্রাসায় পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণীর  ছাত্রী আখিনুরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর রাসেল আখিনুরকে নিয়ে নরসিংদী সদরের শালিধা এলাকায় একটি রুম ভাড়া করে বসবাস করতে থাকে। এমতাবস্থায় রাসেল পুরাতন প্রেমিক আফিয়ার সাথে পুনরায় মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। রাসেল একই গ্রামের আখিনুরকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করায় আফিয়া রাসেলের সাথে প্রচুর ঝগড়া বিবাদ হতে থাকে।  

ঝগড়ার রেশ ধরে ঘটনার দিন আসামি রাসেল আফিয়ার বাড়িতে গিয়ে সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকার জন্য উৎপেতে বসে থাকে। দরজা বন্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে আফিয়ার ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে আফিয়াকে বের করে তার সাথে যৌন মিলন করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ঘটনার পরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে রাসেল।

আমারসংবাদ/কেএস