Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

চন্দ্রগঞ্জে মাদরাসার শিশুছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

মার্চ ১, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম


চন্দ্রগঞ্জে মাদরাসার শিশুছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জস্থ আত্তামরীণ হিফজুল কোরআন মাদরাসায় এক শিশুছাত্রকে যৌন নির্যাতনের (বলৎকার) অভিযোগে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় সোমবার (১ মার্চ) রাতে ভিকটিম শিশুছাত্রের মা’ বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ (২৪), তিনি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার উত্তর হাওলা ইউপির ফেনুয়া গ্রামের উত্তর ফেনুয়া মৌলভী বাড়ির মো. হারুনুর রশিদের ছেলে এবং

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফ (৪৫), তিনি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার কাচিয়া ইউপির চকডোষ গ্রামের দক্ষিণ চকডোষ ক্বারী সাহেব হুজুরের বাড়ির মৃত ক্বারী সিরাজুল হকের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের আফজাল রোড সংলগ্ন আত্তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার নাজেরা বিভাগের আবাসিক এক শিশুছাত্রকে (১০) রাতে খাবার রুমে ডেকে নিয়ে হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতেন এবং এসব কথা কাউকে জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। 

সম্প্রতি মাদরাসা ১ সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করলে শিশুটি অন্যশিশুদের ন্যায় বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে মাদরাসা খোলা হলেও শিশুটি মাদরাসায় আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে কেন সে মাদরাসায় যাবে না, তার মা জানতে চাইলে শিশুটি শিক্ষককর্তৃক যৌন নির্যাতনের কথা খুলে বলে। 

এদিকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে শিশুটির মা ও আত্মীয়-স্বজন মাদরাসায় এসে অধ্যক্ষ মাও. আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফকে বিষয়টি জানিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু মাদরাসার অধ্যক্ষ এ ঘটনার কোন তদন্ত না করে পরদিন শনিবার উল্টো ওই শিশুছাত্রকে বেদম মারধর করেন। সোমবার মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে শিশুটির মা ও অন্যান্যরা মাদরাসায় এসে শিশুটিকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। 

পরে চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই মো. কামাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ ও মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফকে আটক করে। 

এ দিকে ঘটনা শোনার পর অনেক অভিভাবক রাতে মাদরাসায় এসে তাদের সন্তানদেরকেও ওই মাদরাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন বলে জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুই শিক্ষককে আটক এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

আমারসংবাদ/জেডআই