Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

১১৩ বছরে তিস্তা রেলসেতু

শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট

মার্চ ৮, ২০২১, ০৮:৫০ এএম


১১৩ বছরে তিস্তা রেলসেতু

ঐতিহাসিক তিস্তা রেলসেতু নির্মাণের শতবছর পেরিয়ে ১১৩ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলা সহ অন্যান্য জেলার সংযোগ রক্ষাকারী কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তিস্তা রেলসেতুটি। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য সর্ববৃহৎ আয়তনের অধিকারী তিস্তা রেল সেতু ভূমিকা অপরিসীম। 

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৯৯- ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে তিস্তা নদীর উপরে সেতুটি নির্মিত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য একটি সেতু থেকে স্প্যান, গার্ডার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তা মেরামত করা হয়। সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য বিকল্প আরও একটি সেতু নির্মাণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয় বলে এর উপর দিয়েই সড়ক যোগাযোগ চালুর সম্ভাব্যতা ও উপযুক্ততা যাচাইয়ের পর ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উপর দিয়ে রেলওয়ের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। তখন থেকে তিস্তা রেলওয়ে সেতুর উপর দিয়ে রেল ও সড়ক উভয় যোগাযোগ-ই অব্যাহত ছিলো । কিন্তু একটি সেতুর উপরে বেশি ছাপের কারণে আরও একটি নতুন তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে এবং সমাপ্ত হয় ২০১২ সালে। নতুন আর একটি তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ করা হলে আবারও তিস্তা রেল সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে শুধু রেল চলাচলের জন্য এই সেতুটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঐতিহাসিক এ রেল সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। সেতুটি অনেক পুরাতন হয়ে যাওয়ায় এই সেতুটিকে ঐতিহাসিক সেতুও বলা হয়। ঐতিহাসিক বলেই ভ্রমণকারিদের সমাগম ঘটে থাকে এই সেতুটিকে দেখার জন্য। 

সেতুটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির কিছু কাঠের স্লিপারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং রেলপথে ব্যবহৃত ক্লিপগুলোরও কিছু ক্লিপ নেই এবং কাঠগুলো পচে যেতে শুরু করেছে। এছাড়াও সেতুর পাশে দুইসারির জোড়ায় ব্যবহৃত ফিসপ্লেটের নাট-বল্টুতে মরিচা ধরেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইমান আলি বলেন, নদীতে পানি পরিপূর্ণ হলে পিলারের ইটের ভিতর থেকে চুয়ে চুয়ে পানি পরে। এতে করে বোঝা যায় যে পিলারের টেম্পারেচার কমে গেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুরাতন রেলসেতুটি ভেঙে একটি নতুন রেলসেতু তৈরি করার জোর দাবি জানায়। 

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় এর ব্যবস্থাপক সাহা শফি নূর মোহাম্মদ বলেন, সংযোগকারী সেতুটির নির্মাণকাল থেকে এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি এখনো ততোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

আমারসংবাদ/কেএস