Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

পাকিস্তানের দোসররা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়: কৃষিমন্ত্র

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

মার্চ ৮, ২০২১, ০৩:১৫ পিএম


পাকিস্তানের দোসররা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়: কৃষিমন্ত্র

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্র ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন,পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর ও তাঁবেদাররা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নারকীয় গণহত্যার স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর রয়েছে। যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে ও সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে। তারা বাংলাদেশের চেতনাকে নষ্ট করতে চায়, বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়। যারা পাকিস্তানের উচ্ছিষ্টভোগী, দোসর ও তাঁবেদার- যারা পাকিস্তানের ধারায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশ ও দেশের মানুষকে শোষণ করতে চায় তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন যারা মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। মন্ত্রী তাদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা সদরের বধ্যভূমি সংলগ্ন মাঠে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা তথা আগামি প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মের যারা বড় হচ্ছে- যাদের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম- তাদেরকে এই স্মৃতিকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই স্মৃতিকেন্দ্র মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরজাগরূক রাখবে।পাকিস্তানী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের সংঘটিত নির্যাতন ও গণহত্যাকে বিস্মৃতি থেকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক।

তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। সাত কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালিকে সংগঠিত করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, আতাউর রহমান খান,মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন সোহেল হাজারি, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্থানীয় নাগরিক সমাজ আয়োজিত সদ্য একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সংবর্ধনা সভায় অংশ নেন। 

আমারসংবাদ/কেএস