Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

মাছ চাষে সফল কেন্দুয়ার শিক্ষক খাইরুল কবীর

হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)

মার্চ ২৫, ২০২১, ০৫:৩০ এএম


মাছ চাষে সফল কেন্দুয়ার শিক্ষক খাইরুল কবীর

ভাগ্য বদলানোর অদম্য আকাঙ্খা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মৎস্য চাষ করে জীবনে সফলতা পেয়েছেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার খাইরুল কবীর নামের এক মৎস্য চাষী।

প্রথমত তিনি একটি মাদরাসার শিক্ষক পাশাপাশি একজন সফল মৎস্য চাষীও বলা চলে। তার এই সাফল্য দেখে এগিয়ে এসেছেন এলাকার অন্যরাও।

মৎস্য চাষী খাইরুল কবীর তার বাবার নাম আব্দুল কদ্দুছ ভূইয়া, তার বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের দীঘলর্কুশা গ্রামে।

মৎস্য চাষী খাইরুল কবীর ২০১২ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে ছোট পরিসরে একটি পুকুরে মৎস্য চাষ শুরু করে। 

এরপর তিনি মৎস্য চাষের সফলতা পেয়ে আস্তে আস্তে পুকুরের সংখ্যা বাড়িয়ে এখন তিনি ৮ টি পুকুরে মৎস্য চাষ করছেন।

এসব পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে সফল হয়েছে। পাশাপাশি তার পুকুর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও শাক সবজি চাষ করেছেন। 

খাইরুল কবীরের পুকুর পাড়ের মনোমুক্ত কর দৃর্শ দেখতে আসা পাশ্ববর্তী গ্রামের মুজিবুর রহমান বলেন, খাইরুল কবীরের মৎস্য চাষ ও পুকুর পাড়ের মনোমুক্ত কর পরিবেশ দেখে তিনিও ৫টি পুকুরে মৎস্য চাষ শুরু করেছেন।

এছাড়াও খাইরুল কবীরের পুকুর পাড়ে বিভিন্ন জাতের শাক সবজি চাষ করে এলাকায় সামছুল হক স্বাবলম্বী হয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, খাইরুল কবীর আমাকে তার পুকুর পাড়ে সবজি চাষ করতে বলেন, এরপর আমি কীটনাশকমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ শুরু করি সেই সবজি বাজারে বিক্রি করি, পাশাপাশি নিজেরা-ও খাচ্ছি।

মৎস্য চাষী খাইরুল কবীর তার মৎস্য চাষের  সফলতা কথা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত একটি পুকুরে পাংগাচ মাছ চাষ দিয়ে শুরু করেন তার মৎস্য চাষ।

পরে তিনি পুকুর সংখ্যা বাড়িয়ে বর্তমানে তিনি ৮টি পুকুরে, কই,শিং,পাবদা,পাংগাস,টেংরা, রুই,কালতসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করছেন। 

সেই সাথে তার পুকুর পাড়ের কালি জায়গায় শাক সবজি, ফল,ফুল চাষ করেছেন। পাশাপাশি তার পুকুর পাড়ের শাক সবজি চাষ করে বিক্রি করে এলাকায় কয়েকটি পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

এছাড়া তার মৎস্য চাষের সফলতা দেখে এলাকার আরো অনেক যুবক মৎস্য চাষ করতে আগ্রহ হয়েছেন।

তিনি নিয়মিত ওই সব নতুন মৎস্য চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

আমারসংবাদ/এআই