জয়পুরহাট প্রতিনিধি
মার্চ ২৫, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম
জয়পুরহাট সদরের বাসিন্দা শেফালি বেওয়া (৬৫) হত্যার ১২ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইনের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার বুলুপাড়া গুচ্ছগ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ‘শেফালি বেওয়া বাড়িতে একা বসবাস করতেন। এক বছর আগে ঝর্ণা আখতার (২১) নামের এক নারী তার বাড়ি ভাড়া নেন। ঝর্ণা জর্ডান যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং বিভিন্ন সময় বাড়ির মালিক শেফালির কাছে টাকা চাইতেন।
১৩ মার্চ গরু বিক্রির জন্য পাইকারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা বায়না নেন শেফালি। ওই দিন রাতেই শেফালি বেওয়া মারা যান। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে শেফালির স্বজনদের জানিয়েছিলেন ঝর্ণা আখতার। স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে স্বজনেরা তাকে দাফন করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে স্বজনেরা জানতে পারেন গরু বিক্রির বায়না নেওয়া ৩০ হাজার টাকা নিতে বাধা দেওয়ায় শেফালি বেওয়াকে শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন ঝর্ণা। এ ঘটনায় শেফালির ভাই জালাল শেখ বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন।
জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘মামলার একমাত্র আসামি ঝর্ণা আখতারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেফালিকে টাকার জন্য হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঝর্ণা। তার কাছ থেকে শেফালির ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আমারসংবাদ/এএসএম