Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায় আজ

খুলনা প্রতিনিধি 

মার্চ ২৮, ২০২১, ০৯:৩০ এএম


শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায় আজ

খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প ও ব‌ণিক স‌মি‌তির সা‌বেক সভাপ‌তি শেখ আবুল কা‌শেম হত্যাা মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে। খুলনা জেলা আইনজীবী স‌মি‌তির একজন সদস্যের মৃত্যুতে আদাল‌তের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রায়ের দিন পুন:নির্ধারণ করেন জন‌নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যাল‌লের বিচারক মোঃ সাইফুজ্জআমান হি‌রো। এর আগে রোববার (২৮ মার্চ) রায় ঘোষণার পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থানার অদূরে বেসিক ব্যাংকের সামনে ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাঈল হোসেন। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডি'র ওপর। তারা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ওই অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় কাজী আমিনুল হক, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (মৃত), তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু (মৃত), ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, মিল্টন ও তারেক।

আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার কাজ ১৯৯৭ সালে ৮ জুন শুরু হলেও প্রথম দিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপি ৪৯৪ ধারা মতে প্রজ্ঞাপনে অভিযোগপত্র থেকে কাজী আমিনুল হকের নাম বাদ দেওয়া হয়। বাদীপক্ষ এই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করলে প্রথমে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেলে পরে কাজী আমিনকে বাদ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় বাদীপক্ষ। পরবর্তীতে এ মামলার অপর আসামি সৈয়দ মনিরুল ইসলাম নিজের অংশ বাদ রেখে বিচার চালানোর আবেদন করলে উচ্চ আদালত মামলার বিচার কাজ স্থগিত করে। 

২০০৮ সালে ২৪ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পুনরায় বিচার কাজ শুরু হয়। ওই সময় মোট ৩২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য হওয়ার পর একই বছরের ২০ নভেম্বর মামলাটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফেরত আসে। সৈয়দ মনিরুল ইসলামের পর আব্দুল গফফার বিশ্বাসের পক্ষে পরে ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আবারও উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয় পুরোপুরি।

এ বছরের ৩ জানুয়ারি ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। পরে আদালত ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এভাবে এ মামলার চার কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর ২৩ মার্চ আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ মার্চ নির্ধারণ করেন।

২৩ মার্চ আদালতে এ মামলার আসামি আব্দুর গফফার বিশ্বাস ছাড়া আর কোন আসামি উপস্থিত ছিলেন না।

আমারসংবাদ/কেএস