Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

মার্চ ২৮, ২০২১, ০২:২০ পিএম


কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।

রোববার (২৮ মার্চ) আসর নামাজবাদ কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে তাঁর প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় পুলিশের একটি চৌকশ দল। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এরপর জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত মরহুমের কফিনে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন তালা-কলারোয়া (সাতক্ষীরা-১) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পক্ষে প্রতিনিধিগণ, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর, সাবেক সাংসদ বিএম নজরুল ইসলাম, মরহুমের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন উপজেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের নেতা-কর্মীগণ ও মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী। মাগরিব বাদ দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
 
আজ রোববার সকাল ৬.৩০ মিনিটে কলারোয়ায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন প্যারালাইজড অবস্থায় শয্যাশায়ী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে কলারোয়া উপজেলা আ’লীগ হারালো তাদের এক অভিভাবককে।

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে কলারোয়ায় হামলার ঘটনা ঘটলে তিনি বাদী হয়ে সে সময়ের শাসক দল বিএনপির স্থানীয় সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৫০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর সে মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন। বিচারে সাবেক সাংসদ হাবিব সহ ৫০ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ৯ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই তিনি মোসলেম কমান্ডার নামে সুপরিচিত ছিলেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, অধিষ্ঠিত ছিলেন জেলা আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে।

তাঁর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা ও কলারোয়া উপজেলা আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও  ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। 

আমারসংবাদ/এএসএম