Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

পৌর নির্বাচন: চকরিয়ায় অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের এলাকায় আনাগোনা

মার্চ ২৯, ২০২১, ১০:০৫ এএম


পৌর নির্বাচন: চকরিয়ায় অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের এলাকায় আনাগোনা

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ এলাকায় প্রভাবশালী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে এবং নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য কিছু প্রার্থী সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের এনে জড়ো করছেন। 

পৌরশহরের আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন অপরাধীদের এনে জড়ো করছেন বিভিন্ন প্রার্থীরা। 

এনিয়ে সাধারণ ভোটারের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অনেকে মনে করছেন অপরাধীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি ভোটের দিনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হতে পারে। 

এদিকে, নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অনেকের বিরাগভাজন হচ্ছে। নৌকার বিজয় মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। 

আমাকে পরাজিত করতে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা গোপনে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। ভোটের দিন কেন্দ্র দখল ও ভোট ছিনিয়ে নেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী বলেন, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনার বিষয়ে আমি অবগত। পৌর নির্বাচন যাতে প্রভাবমুক্ত থাকে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।  

চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সবসময় সজাগ রয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয় করার কোনো বিকল্প নেই।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী লোকজন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করার বিষয়ে আমি অবগত নই। অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ নেই। 

পুলিশকে অবহিত করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। 

চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, কোনো মেয়র অথবা কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে অবগত করেনি। 

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা যদি নির্বাচন প্রচারণায় যুক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চকরিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৬৮ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে ৪জন, নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৫০ জন প্রার্থী রয়েছে। 

আগামী ১১ এপ্রিল চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৪৮ হাজার ৭২৪ জন। 

আমারসংবাদ/এআই