Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

স্কুলছাত্র অনিক হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ-সিআইডি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

মার্চ ৩০, ২০২১, ০৩:৪৫ এএম


স্কুলছাত্র অনিক হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ-সিআইডি

সুনামগঞ্জের সিজিএম নির্মানাধীন ভবনের ১০ তলা ভবনের নীচ তলা থেকে খুন হওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম অনিক বর্মন (১৭)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলিগাও গ্রামের প্রদীপ বর্মনের পুত্র। সে সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। 

গেলো রোববার বিকাল ৩ টায় ১০তলা নির্মাণাধীন ভবনের নীচ তলার সিড়ির নীচ থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। তাৎক্ষণিক নিহত অনিকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।  

সোমবার সকালে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এসে লাশের সনাক্ত করেন তার পিতা মাতা। 

নিহত অনিকের বাবা প্রদীপ বর্মন জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে  সুনামগঞ্জ শহরের নতুন পাড়ার  ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হয়ে গেলে আর বাসায় ফিরে আসেনি। 

রোববার বিকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত তার সন্ধান পাচ্ছিল না বলে জানান। সকালে নিহতের মা জানতে পারেন সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ রবিবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালত এলাকায় নবনির্মিত ১০ তলা ভবনের নীচ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রেখেছে পুলিশ। সকাল ৮টার দিকে নিহতর মা হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ দেখে নিজের সন্তান অনিককে সনাক্ত করেন। 

এ ঘটনায় রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নবনির্মিত ভবনের নীচ তলায় কিভাবে অনিকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকে? অজ্ঞাত লাশের পরিচয় জানতে পুলিশ হন্নে হয়ে বেড়ায়। এ ঘটনায় ভবনের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

সদর থানার ওসি মো: সহিদুর রহমান জানান, গত রোববার বিকাল অনুমান ২টা ৪০ মিনিটের সময় চীপ জুডিসিয়াল আদালত থেকে ফোন করে জানানো হয় এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ সিড়ির নীচে পড়ে আছে। 

খবর পেয়ে আমি ও সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জয়নাল আবেদীন, ডিবি’র ওসি ইকবাল বাহার,সিআইডি’র কর্মকর্তাসহ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে পরিচয় সনাক্ত করার চেস্টা করি এবং কিভাবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করতে থাকি। 

সোমবার সকালে নিহতের মা ও পিতা থানায় এসে তাদের সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন এবং দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত অনিক ঘরে মোবাইল রেখে বেরিয়ে গেলে আর বাসায় ফিরে না। মো: সহিদুল ইসলাম আরও জানান, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে অনিককে। 

সুরতহাল দেখে বুঝা যাচ্ছে যে, খুনিরা অনিকের গলায় রশি দিয়ে পেছিয়ে হত্যার পর ভবনের ৫তলা থেকে নীচে ফেলে খুনীর চলে যায়। অনিকের কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং সিড়ির অনেক স্থানে রক্তের ফোটা দেখা গেছে। 

এ হত্যাকান্ডের সাথে যে বা যারা জড়িত তাদেরকে অবশ্যই আইনের নিয়ে আসা হবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ও সিআইডি কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনিক হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারব। 

আমারসংবাদ/এআই