আল-আমিন, নীলফামারী
মার্চ ৩০, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নালিশীয় জমিতে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় প্রশাসনের নিরবতা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলা ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের মৃত শহির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম কবলা মূলে তার বসতভিটা সংলগ্ন এসএ ১৬৩৮ খতিয়ানের ৪৮৬০ দাগের ১৫ শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে আছেন। ওই জমি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত অহেদ আলীর ছেলে আলম হোসেন গং ভূয়া মালিকানার দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা করেন। উক্ত ঘটনায় আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে নীলফামারী সহকারী জজ আদালতে ডিক্রির দাবিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাটোয়ারা মামলা করেন। পরে বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই জমিতে কোন কিছু না করার জন্য মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত ৭ মার্চ উভয় পক্ষের প্রতি আদেশ দেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদিপক্ষ নালিশীয় জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ করায় বাদিপক্ষ প্রশাসনের দারস্থ হন। কিন্ত প্রশাসনের নিরবতায় বিবাদি আলম গং নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বিবাদি আলম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে তাই ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতেছি। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ গ্রহণ করার পর কেন নির্মাণ কাজ করছেন। বিষয়টি পাশ কাটিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান।
মামলার বাদি আমিনুল ইসলাম জানান, বিবাদিরা গত কালকেও আমাদের বাড়িতে একাধিকবার ঢিল ছুড়ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশীয় জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে ওনারা বিষয়টি আলাদতকে জানাতে বলেছেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উভয়পক্ষ একই গোষ্ঠীভুক্ত ও পাশা-পাশি বাড়ি। সেখানে টুকিটাকি ঢেলা-ঢেলি হয়। আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্য উভয় পক্ষকে নিষেধ করেছি।
আমারসংবাদ/কেএস