Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বরগুনায় ককটেল নিক্ষেপ: আহত ৯, গ্রেপ্তার ২০

বরগুনা প্রতিনিধি 

মার্চ ৩১, ২০২১, ০৩:৪০ পিএম


বরগুনায় ককটেল নিক্ষেপ: আহত ৯, গ্রেপ্তার ২০

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে বরগুনার বামনা সদর ইউনিয়নের সোনাখালী বাজারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) সোহেল সিকদারের ভবন থেকে নৌকার সমর্থকদের ওপর কমপক্ষে ২০টি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্তত ৯ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। 
আহতরা হলেন, বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত কর্মকার, মানিক কুমার পঙ্কজ, ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় দাস, জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি রাজিব হোসেন আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সংবাদকর্মী ফয়সাল সিকদার। 

স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নিবার্চনী ওই ভবনটিতে ডিবিপুলিশ ও পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর সারঞ্জাম, বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ধারালো চাকু, একটি পিস্তল ও এক ম্যাকজিন গুলি উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৩১ মার্চ) দুপর ১টায় বামনা উপজেলার সোনাখালী বাজারের বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়কে। প্রায় ৫টা পর্যন্ত চলে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা। এ ঘটনায় সোহেল সিকদারের ভবন থেকে দুই স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ ২০জনকে আটক করে পুলিশ। 

আটককৃতরা হলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঘোড়া প্রতীকের) সোহেল সিকদার, স্বতন্ত্রপ্রার্থী (মটরসাইকেল প্রতীক) তরিকুজ্জামান সোহাগ, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাফান জোমাদ্দার আকাশ, স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের সমর্থক রাজ্জাক মল্লিক, সিদ্দিক ভুইয়া, শাওন, নিরু মল্লিক, শাহজাহান মল্লিক, আলমগীর, ইমরান, সোহাগ, সাগরসহ আরো অজ্ঞাত ৮জন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানায়, বুধবার দুপুর ১টায় দক্ষিণ আমতলী গ্রামে রহিম হাওলাদারের বাড়ির সামনে ককটেল নিক্ষেপ করার খবর পেয়ে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শন শেষে তারা যখন সোনাখালী বাজারে মহাসড়কে পৌঁছায় তখন স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নিবার্চনী ভবনের দোতালা থেকে ৭-৮টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে হৃদয় দাশ (২০) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। এরপরে থেমে থেমে আরো কয়েক দফায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ওই ভবনটির দোতালা থেকে। এতে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদারের ডান পায়ে ককটেলের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। এ ঘটনায় ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 
পরে বরগুনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম এর নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা ওই ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর সারঞ্জাম, বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ধারালো চাকু, একটি পিস্তল ও এক ম্যাকজিন গুলি উদ্ধার করে। ভবনটির ভিতরে অবস্থানরত দুই স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ ২০জনকে আটক করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির বলেন, আমার নেতাকর্মীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে হতবাক হয়ে গেছি। আমাকে লক্ষকরেও বেশ কয়েকবার ককটেল ছোড়া হয়েছিলো। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। 

বামনা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নিবার্চনী ভবনটি থেকে বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর সারঞ্জাম ও পিস্তলসহ বেশ কয়েকটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটি থেকে আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আমারসংবাদ/কেএস