Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

এপ্রিল ৩, ২০২১, ১১:৩৫ এএম


রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

রাঙামাটি জেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের কুমড়াপাড়া এলাকায় এ বছর তরমুজ চাষে কালাইয়া চাকমার ব্যাপক সাফল্য এসেছে। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় তরমুজ চাষ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন তরমুজ চাষে।

জানা যায়, নিজের ২ একর কাপ্তাই হ্রদে জেগে উঠা জমিতে তরমুজের চারা রোপণ করে সফলতা পেয়েছে। ৪ মাস পর পাহাড়ি মাটিতে তরমুজের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তরমুজগুলো খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি এবং রংও খুব সুন্দর। তরমুজ চাষে সফলতা আসায় পর আরো সামনে বছর বাণিজ্যিকভাবে তরমুজের চাষ করবেন বলে তিনি জানান। 

বর্তমানে কালাইয়া চাকমার জেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের কুমড়াপাড়া এলাকায় তরমুজ চাষীদের কাছে আইডল হতে চলেছেন। তাকে দেখেই তার প্রতিবেশী নতুনভাবে তরমুজ চাষ শুরু করার আশা প্রকাশ করেন। অনেক বেকার যুবক তাকে দেখে তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

তরমুজ চাষী কালাইয়া চাকমা বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে ২ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। কঠোর পরিশ্রম করার পরে চলতি বছর আমার ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। 

তিনি বলেন, নিয়মিত সার দেয়া, নিড়ানী দিয়ে ক্ষেত পরিস্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমার পুরো ক্ষেতের তরমুজ ৩ লাখ টায় বিক্রি করতে পারবো। 

তিনি আরো বলেন, আমাকে যদি কৃষি অফিস থেকে আরো কিছু কৃষি সরঞ্জাম দিলে সামনে বছর দ্বিগুণভাবে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।

রাঙামাটি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর ২২ হেক্টর, নানিয়ারচর ১৯ হেক্টর, কাউখালী ১৬ হেক্টর, বরকল ৩২ হেক্টর, জুরাছড়ি ২১ হেক্টর, লংগদু ৫১ হেক্টর, বাঘাইছড়ি ২৫ হেক্টর, কাপ্তাই ১৮ হেক্টর, রাজস্থলী ১৮ হেক্টর, বিলাইছড়ি ২৮ হেক্টর। 

কৃষি বিভাগ থেকে আরো জানা যায়, তরমুজ একটি জনপ্রিয় ফল। জেলায় সুস্বাদু এ পুষ্টিকর রসালো ফল চাষ করা হচ্ছে। এলাকার বেকার যুবকরাও অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

রাঙামাটি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, পাহাড়ি জমিতে এখন অনেকেই তরমুজের চাষ করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যের তরমুজ বিক্রি করতে পারে এজন্য কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন।

আমারসংবাদ/এআই