হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৫, ২০২১, ১২:১৫ পিএম
দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নানা শংকায় নিষেধাজ্ঞা শুরু। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা সে লক্ষে কঠোর ভাবে পর্যাবেক্ষণ করছে উপজেলা প্রশাসন।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে লকডাউনের প্রথম দিনেই জরুরি সেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ ছিলো, সড়কে চলাচল করতে দেখা যায়নি তুলনামূলক কোন প্রকার যানবাহন, বলা যায় সড়ক ফাঁকা। তাছাড়া মাস্ক পরিধানে অনেকেরই অনীহা রয়েছে।
সোমবার হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন সড়ক, বাজার ঘাট সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ ছিল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও দেখা যায়নি সেবা নিতে আশা সাধারণ জনতার। তবে কাঁচাবাজারে ক্রেতা/বিক্রেতাদের মুখে মাক্স থাকলেও তা আবার তুলনাহীন। গণমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে তাড়াহুড়ো করে মুখে মাস্ক দিতে দেখা যায়। উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছিল প্রশাসনের জোরালো টহল। তবে রাজপথে আলমসাধু,পাখিভ্যান, ইজিবাইক, অটোতে যাত্রী ছিলো তুলনামূলক কম।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছিল।
আমারসংবাদ/কেএস