Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেচ্চাছারিতার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

এপ্রিল ৬, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম


নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেচ্চাছারিতার অভিযোগ

নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব সাড়ে ৩ বছর পূর্বে যোগদান করার পর হতে অফিস সহকারী মন্জুরুল আমিন রাসেলের যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম করলেও কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর যোগসাজসে সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে নাম সর্বস্ব কমিটি তৈরী করে, অফিস সহকারী মন্জুরুল আমিন রাসেল ব্যক্তিগত ঠিকানা ব্যবহার করে ভেকু ড্রাইবারের সাথে নিয়ম বর্হিভুত লিখিত চুক্তি করে সরকারি খাল নিজেই ঠিকাদারী সেজে ইতোমধ্যে আফুলশী হতে পদিপাড়া খাল (অংশ ১ ও ২)গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২১ইং পুন খননের কাজ শুরু করেন।  

সরোজমিনে ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মোতালেব জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর হতে জলাশয় সংস্কার ও খাল পুন:খননের একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জলাশয় সংস্কারে প্রকল্পে প্রস্তাব তৈরী ও প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে আসলে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে অধিদপ্তরে প্রেরণের জন্য এ কর্মকর্তা কে উৎকোচ দিতে হয় বলে জানায়, নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগি। 

আবার কাজ সম্পূর্ণ করে বিল তুলতে দিতে হয় ১০ শতাংশ। টাকা না দিতে চাইলে প্রকল্প সমন্বয় কমিটির সভাপতি-সম্পাদক কে বিভিন্ন হয়রানি করে বলে অভিযোগ উঠেছে। খাল পুন: খননের প্রয়োজন নেই, মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেলে এমন সরকারী পুকুর ও খাল খননের জন্য প্রস্তাব পাঠায় অধিদপ্তরে। চরমন্ডলীর সরকারি ৪০ শতাংশের পুকুরটি ব্যক্তি বা একক পরিবারের সুবিধার্থে সরকারি টাকায় পুন:খননের জন্য প্রকল্প তৈরী করে অনুমোদনের জন্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনে তার অনিহা  দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, তিনি স্বাধীনতা বিরোধী মতে বিশ্বাসী।

জেলার সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা এ দূর্নীতিবাজ মৎস্য কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা  নিতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি জানান ভেকু ড্রাইবার কে দিয়ে অফিস সহকারী মন্জুরুল আমিন রাসেল কাজ করিয়েছেন সত্য, তবে অন্য এক জন ঠিকাদারও  আছে। ভেকু ড্রাইবার কে ৩ লক্ষ্য টাকা দিয়েছি বাকী টাকার জন্য সে বদনাম ছড়াচ্ছে। এটা উর্দ্বতন কর্মকর্তারাও জানেন। অফিস সহকারী কারো সাথে লিখিত চুক্তি করে খাল খনন করতে পারে কি-না, জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে, বলেন মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছি। 

তিনি আরো বলেন, আপনাদের অনেক সাংরাদিক নেতা কে আমি চিনি, অফিসে আসেন, বিস্তারিত শুনুন। 

আমারসংবাদ/কেএস