Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৬, ২০২১, ০১:৩০ পিএম


হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে মোবাইল কোর্টের কথা বলে চাঁদা আদায়ের সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ৯৯৯-এ কল দিয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, জেলা স্টেশন থেকে কাউকে এমন কাজের জন্য প্রেরণ করা হয়নি।

সদর ফায়ার সার্ভিস থেকে জানতে পেরে স্থানীয়রা বিজন বিশ্বাসকে আটক করে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন যে মোবাইল কোর্টের কথা বলে টাকা আদায় করাটা অন্যায় হয়েছে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত সকলের নিকট বিজন বিশ্বাসের এমন কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ছাড়িয়ে হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নিয়ে আসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, আন্ধারমানিক, বলড়া, পিপুলিয়া, কান্ঠাপাড়া, দানিস্তপুর, কোকরহাটির বিভিন্ন দোকান থেকে বিজন বিশ্বাস ৫০০ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছেন।

উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া মাদারতলার মুদি ব্যবসায়ী মোতালেব জানান, তার কাছ থেকে গ্যাসের লাইসেন্সের কথা বলে ৫০০ টাকা নিয়েছেন।

সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী তামিম খান জানান, তার কাছে থেকে লাইসেন্সের কথা বলে ১৫,০০০ হাজার টাকা নিয়েছেন। বিপরীতে একটি ভিজিটিং কার্ডে 'লাইসেন্স প্রসেস' লেখা একটি নোট প্রদান করে মোবাইল কোর্টের অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তা প্রদর্শন করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজন বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে হরিরামপুর স্টেশন ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিজন বিশ্বাসের চাঁদাবাজির সত্যতা স্বীকার করেন এবং বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, হরিরামপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন তৈরী হবার পর মানুষের মাঝে যে আনন্দের বন্যা বইছিল তা বিজন বিশ্বাসের কর্মকান্ডে প্রত্যেকেই হতাশ। তার এমন অবৈধ কর্মকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

আমারসংবাদ/এএসএম