Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

বরুনাতৈল সেতু যখন মরণ ফাঁদ 

মিরাজ আহম্মেদ, মাগুরা

এপ্রিল ৮, ২০২১, ০৮:০০ এএম


বরুনাতৈল সেতু যখন মরণ ফাঁদ 

মাগুরা শহরের নিকট ঘেঁষে বয়ে চলা নবগঙ্গা নদীর পাড়ে ৬৭ মিটার দৈর্ঘ বরুনাতৈল সেতু যা এখন মরণ ফাঁদে পরিপূর্ণ রুপ নিয়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই, সেতুর কংক্রিট ভেঙে পানিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত। 

প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলিংবিহীন এবং পাটাতন ধসে যাওয়া সরু এই সেতুটি দিয়ে কয়েক গ্রামের হাজার-হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে উপজেলা সদরে যোগাযোগের জন্য বড়ইবাজার, আলোকদিয়া, বিনোধপুর, বাবুখালী, কানোটিয়া, আউনাড়া, মহম্মদপুর উপজেলা সহকয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াতের অন্যতম এই সেতুটি ১০-১৫ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুটির রেলিং ভেঙে যাওয়ায় অটোভ্যান, নছিমন, মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায়ই নিচে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় যাত্রীদের। 

সেতুটির প্রথম অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা কিনা মহা-বিপদজনক! এছাড়াও সেতুটি সরু হওয়ায় এক পাশে ছোট যানবাহন ঢুকলে অপর পাশে অন্য যানবাহন দাঁড় করিয়ে সাইট দিতে হয়, তার উপর আবার রেলিঙের অংশ মাঝে ভাঙ্গা (৩০-৪০) ফিট নিচে পানি। 

মাগুরা জেলা সওজের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সেতুটির ডান পাসে সাইনবোর্ড আকারে লিখেছেন (৫ টনের অধিক লোড পারাপার থেকে বিরত থাকুন ঝুঁকি পূর্ণ সেতু! আদেশক্রমে ‘সওজ’ মাগুরা)  

স্থানীয়রা বলেন, সেতুটির দুই পাশের অধিকাংশ রেলিং ভেঙে যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে পথচারী সেতুর ওপর দিয়ে পারাপারের সময় নিচে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। নির্মিত সেতুটির ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। 

এলাকার কয়েকজন জানান, এই সেতুর ওপর দিয়ে তাদের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। সেতুটির ঢালাইয়ের পাশাপাশি খুঁটি ও রেলিং ভেঙে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে সেতুটির লোহার খুঁটি ও রেলিং ভেঙে এবং বেঁকে যাওয়ায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, টেম্পো, রিকশা, ভ্যান, পিকআপ যাতায়াত করছে প্রতিনিয়ত। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গত ৬ এপ্রিল সরেজমিন সেতু টি দেখতে গেলে নাম না জানা সাইকেল চালক এ সময় বলেন, সেতু থেকে পানিতে কেউ পড়ে গেলে, সাতার কাটতে জানা থাকলে ও এত উচু থেকে পড়ে কেউ বাঁচবে কি না বলতে পাড়েন, সাবধানে ছবি তুলেন। 

নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাগুরা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি আমার সংবাদকে জানান, নতুন ভাবে তৈরি করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই বেহাল। অতি শিগগিরই খালের ওপর নতুন করে একটি পাকা (আরসিসি) সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত এর নির্মাণকাজ আরম্ভ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস