Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বাহুবলের রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ড

জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৮, ২০২১, ০৮:৪০ এএম


বাহুবলের রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ড

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনা। তারপরও বিপুল পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বুধবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তেই লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। 

আগুনের বিকট শব্দে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে আশপাশের বাড়ি-ঘরের হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে। প্রথমে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হয়। 

প্রায় দেড় ঘন্টা প্রাণপণ চেষ্টার পর রাত পৌণে ১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। 

সূত্র জানায়, প্লান্টের 'বার্নফিড' থেকে আগুণের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে। 

রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টের জেনারেল ম্যানেজার রওনকুল ইসলাম বলেন, 'কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষনিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টের পরই সবকিছু জানা যাবে।' 

হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক শিমুল মোঃ রাফি বলেন, 'খবর পেয়ে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ২টিসহ শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের ৬টি ইউনিট এক যোগে কাজ করে। প্রায় দেড়ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। 

ধারণা করা হচ্ছে বার্নফিড থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। 

এদিকে করাঙ্গী নদীর দু'পাশে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে নবীর পাড়ে বসবাসকারী কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের শিশু সন্তানদের কোলে নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। 

খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিগ্ধা তালুকদার, সহকারী কমিশনার ভূমি খৃষ্টফার হিমেল রিছিল, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। 

ইউএনও জানান, তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না। মূলত শোধনাগারের বর্জ্যের মধ্যে আগুন জ্বলছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতার কারণে বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

আমারসংবাদ/এআই