Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

মদনে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতাকে মারপিট

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৮, ২০২১, ১০:৪৫ এএম


মদনে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতাকে মারপিট

নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ায় জন্য প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থী (১৮) কে মারপিট করে ব্রীজের নিচে ফেলে রেখেছেন ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। 

বৃহস্পাতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে তিয়শ্রী-সিংহের বাজার সড়কের মাখনা গ্রামের সামনে ব্রীজের নিচ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় এলাকাবাসী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। 

বুধবার রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে মাখনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাড়ৈউড়া গ্রামের চান মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।

আহত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জানান, ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মাঘনা গ্রামের প্রভাবশালী করিম মিয়ার ছেলে অপু আমাকে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে জোড়পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন। 

পরে ২০২০ সালের ১৯ আগষ্ট তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। এ থেকেই ধর্ষণ মামলাটি তোলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করে। 

২০২১ সালের ১ এপ্রিল জামিন পেয়ে অপু বাড়িতে আসে। এরপর থেকে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। ৭ এপ্রিল বিয়ের কথা বলে আমোকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে অপু ও তার বাবা আব্দুল করিম, আরো কয়েক জন মামলাটি তোলে আনার জন্য আমাকে মারপিট করে। আমি অচেতন হয়ে পড়লে তাদের বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। আমার একটি চোখ নষ্ট আরো একটি চোখ তারা নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এই ব্যাপারে মোবাইল ফোনে অপু জানান, গতকাল রাতে একটি সিএনজি নিয়ে গভীর রাতে ওই মেয়েটি আমার বাড়িতে এসেছিল। পরে আমার বাবা চুর মনে করে কয়েকটি থাপ্পর দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে।

নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে মদন হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।  

মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কাজী বুশরা আমীন জানান, মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, প্রতিবন্ধী কলেজ শিক্ষার্থী অপুর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৯ আগস্ট মদন থানায় যে মামলাটি করেছিলো সেই মামলাটি বিচারাধীন আছে। মারপিটের বিয়ষটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।