পিরোজপুরে দ্বিতীয় দফা টিকা প্রদান শুরু

সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরেও লকডাউন মানছে না অনেকেই। লকডাউন অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রেখে চলছে বেচাকেনা। নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই পিরোজপুর শহরের প্রায় সব দোকানই খোলা থাকে দোকানপাট।
এদিকে দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুরে বৃহস্পতিবার থেকে করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়েছে।
জেলায় বর্তমানে ২৫ শতাংশ লোক করোনায় আক্রান্ত রয়েছে। কিন্তু কাঁচাবাজার, মুদিবাজার, ওষুধ, খাবারের কিছু দোকান খোলা থাকার কথা থাকলেও প্রায় সব ধরনের দোকান খুলা রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
সকল খাবার দোকান, চায়ের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান, কসমেটিক্স দোকান সহ প্রায় সকল দোকান মালিকরাই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধু পিরোজপুর শহরের দোকানই নয় মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, কাউখালি সহ প্রায় সব উপজেলার বাজারগুলোর অবস্থা একই রকম খোলা রয়েছে।
সিভিল সার্জন হাসনাত ইফসুফ জাকী জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আমরা দ্বিতীয় ধাপের করোনা টিকা প্রদানের কাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ৯২৮ জনকে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৩৪৫ জনকে পজেটিভ পাওয়া গেলেও ১১৭৬ জন সুস্থ্য হয়েছে। ১৪২ জন রোগী অসুস্থ্য রয়েছে এবং ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ৭ জন করোনা রোগী ভর্তি আছে। গত দুইদিনে ১৭০ জনকে করোনা পরীক্ষা করে ৪৯ জন পজেটিভ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, লকডাউন মেনে চলার জন্য সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
পিরোজপুরের বাজার সহ অন্যান্য উপজেলার বাজার গুলোতে ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মোবাইল কোর্টে পরিচালনা করে যাচ্ছে।
সকলের উচিত নিয়ম মেনে জেলা প্রশাসনকে সাহায্য করা। এখনো যারা এ লকডাউন মেনে চলছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছে জেলা প্রশাসক।
আমারসংবাদ/এআই