দোহারে লকডাউন কার্যকরে সক্রিয় প্রশাসন, মাঠে বিজিবি

সারাদেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন চলমান। ঢাকার দোহার উপজেলায় সোমবার থেকেই লকডাউন কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। এর মধ্যেই লকডাউনের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে দোহার উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দোহারের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসন। 

এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জনসাধারণকে অর্থদণ্ড প্রদান করছে উপজেলা প্রশাসন। 

দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউনের ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা গেছে। উপজেলার সড়কজুড়ে অবাধে চলতে দেখা গেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, পিকআপ ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। মার্কেট বা শপিং মলগুলো বন্ধ থাকলেও বেশকিছু ব্যবসায়ীরা লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানের এক শার্টার খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে প্রশাসনের অবস্থান টের পেলেই কাস্টমারসহ দোকান ভেতর দিক থেকে বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রশাসন চলে গেলে আবারও দোকান খুলতে দেখা গেছে। 

এছাড়া নিত্যপণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজার খোলা রয়েছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বাজারে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সামনে দেখা গেল গ্রাহকদের দীর্ঘলাইন। অনেক এলাকার দোকানদাররা দোকানও খুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বললেন, ‘সরকারি অফিস খোলা, ঢাকায় বইমেলা খোলা, তাহলে কড়াকড়ি লকডাউন শুধু আমাদের বেলায়? এই দোকান দিয়েই আমার সংসার চলে। পেটের তাগিদে দোকান খোলা রেখেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।’

দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ১ সপ্তাহের লটডাউন ঘোষণা করেছে। তবে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা মাঠে আছি এবং থাকবো। 

আমারসংবাদ/কেএস