Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

হেফাজতকে নিয়ে এক শিক্ষকের ‘অভিনব প্রতিবাদ’

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৯, ২০২১, ০৯:৫৫ এএম


হেফাজতকে নিয়ে এক শিক্ষকের ‘অভিনব প্রতিবাদ’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে হেফাজতের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদে মাঠে নামে পচাঁত্তর বয়সের বৃদ্ধ একজন কলেজ শিক্ষক। ‘হেফাজতীরা বাংলাদেশকে এখনও পাকিস্তানই মনে করে। তাই ভারত ওদের যন্ত্রণা। মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ওদের অন্তর জ্বালা।’ এমন অনেক কথা লিখেছেন তার প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডে। 

জানা গেছে, উক্ত কলেজ শিক্ষক উপজেলার সর্বস্তরের লোকজনের কাছে আফেন্দি স্যার নামে পরিচিত। তিনি নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আফেন্দি নুরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা মাদক, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী, ইভটিজিং, ধর্ষণ এ ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একক প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেই একটি বাঁশের চাটাইয়ের উপর প্রতিবাদী লেখা সাঁটিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ডের মতো নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে হেটে হেটে ঘুরে প্রতিবাদী বার্তা বয়ে বেড়ান। বেশ কয়েক বছর ধরে এ পর্যন্ত তিনি ১৩৫তম একক প্রতিবাদ করেছেন। 

ঠিক তেমনি বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে নান্দাইল উপজেলার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। এবার তার ১৩৫ তম প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডে হেফজাত ইসলামের চলমান কর্মাকাণ্ডের প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন। 

বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও থেমে নেই তার প্রতিবাদ। বিশেষ করে সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একাই সড়কে নেমে জনসাধরণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

বর্তমানে সময়ের আলোচিত হেফাজত ইসলামের বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি তার প্ল্যাকার্ডে বলেছেন, ‘হেফাজত একটা হিংস্র ও মূর্খ রাজনৈতিক দল। ওটা ওরা একাত্তরের স্বভাব বদলাতে পারেনি। ওরা নেতাকর্মীরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? ওরা তো বাংলাদেশের পতাকা পুড়ে ও জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করে। ওরা তো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডবের আদলে এখানে ওখানে সর্বকালেই ধ্বংসলীলা চালনায় ব্যস্ত। মুক্তিযুদ্ধে হেফাজত ৩০ লাখ বাঙালি হত্যায় যোগান দিয়েছিল। হেফাজতীরা এখনও বাংলাদেশকে পাকিস্থানই মনে করে।’ 

এছাড়া তিনি আরও লিখেছেন, ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সার্বিকভাবে সাহায্য করেছিল। তাই ভারত ওদের যন্ত্রণা। মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ওদের অন্তর জ্বালা। তাই ওরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডবে বাংলাদেশেরে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে ওদের কত নারকীয় শক্তি। 

ওনার এরকম অভিনব প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন নান্দাইল সমূর্ত জাহান মহিলা কলেজের শিক্ষক অরবিন্দ পাল অখিল। তিনি বলেন, ‘আফেন্দি স্যার সকলের মনের কথাটিই প্রকাশ করে প্রতিবাদে নেমেছেন। সকলের উচিত উনার এই প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উনার সাথে সড়কে নেমে পড়া।’

আমারসংবাদ/কেএস