Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

কৃষক বাবার মেয়ে পেলেন বগুড়া মেডিকেলে পড়ার সুযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৯, ২০২১, ১০:৩০ এএম


কৃষক বাবার মেয়ে পেলেন বগুড়া মেডিকেলে পড়ার সুযোগ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ২৩১২তম হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ময়মনসিংহ নান্দাইলের কৃষক বাবার মেয়ে তাসলিমা আক্তার। 

মেধাবী তাসলিমা আক্তার উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামের কৃষক দম্পতির কন্য। এ কৃষক দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সে সবার ছোট। ছোটবেলা থেকে তার পিতা-মাতার পাশাপাশি সে নিজেও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন মনে লালন করতো। তবে বাবা-মায়ের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তিই সফলতার পথ দেখিয়েছে তাসলিমা আক্তারকে। শিক্ষাজীবন জুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল তাসলিমার নিত্যসঙ্গী। 

বি.এ পাশ পিতা মাইজ উদ্দিন বর্তমানে কৃষি কাজের পাশাপাশি স্থানীয় একটি বাজারে কাপড়ের ব্যাবসা করেন। তবে মেধার জোরে সব বাধা জয় করে আজ মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে তার মেয়ে তাসলিমা আক্তার। তাসলিমা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীণ হয়েছে। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় গর্বিত তার বিদ্যাপীঠ, শিক্ষক ও এলাকার লোকজন। 

নান্দাইলের বীরকামট খালী জে.বি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাসলিমা আক্তার। 

জে.বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, তাসলিমা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। সে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীণ হয়েছে। 

তিন ভাইবোনের মধ্যে তাসলিমার বড় ভাই ফয়সাল আহমেদ বিএসসি ইইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত, বড়বোন মাহমুদা আক্তার মিতু এমএসসি পাশ করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

পিতা মাইজ উদ্দিন বলেন, কষ্টে উপার্জিত অর্থে কোনরকম চলে তার সংসার। বহু কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন তিনি। তবে পিতা মাইজ উদ্দিন ও মাতা হেলেনা আক্তার উভয়ই বি.এ পাশ। 

তারা জানান, আল্লাহর অশেষ রহমত ও শিক্ষকদের সহযোগীতায় আমাদের সন্তান ভাল ফল করতে পেরেছে। এ জন্যে মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। আমার মেয়ে মানবিক চিকিৎসক হোক, এটিই আমার চাওয়া।  

তাসলিমা আক্তার বলেন, এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার মায়ের। ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমি সকলের দোয়াপ্রার্থী।

আমারসংবাদ/কেএস