Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

পাহাড়ে চলতি বছরও হচ্ছে না বৈসাবি উৎসব

জসিম উদ্দিন জয়নাল, খাগড়াছড়ি

এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


পাহাড়ে চলতি বছরও হচ্ছে না বৈসাবি উৎসব

পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৮৫ সাল থেকে তিন পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান জেলায় বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগে বৈসাবি নামের উৎসব দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছে। 

উপজাতীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো-বৈসাবি। পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির বড় তিনটি সম্প্রদায়ের মিলনে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। এিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই আর চাকমাদের বিঝু-এ তিন উৎসবের আদ্যাক্ষর নিয়ে তৈরী বৈসাবী। 

প্রতি বছর বৈসাবী উৎসবটি পাহাড়ে পালন করা হলেও গত বছরের মতো এবছরে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কার নে হচ্ছে না পাহাড়ের এ প্রাণের  উৎসব।

১২ এপ্রিল ভোরে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শুরু হয় এই উৎসব। ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ নববর্ষের আগের দিন 'হারি বৈসু' আর নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মারমাদের সাংগ্রাইয়ের সূচনা হয়

১২ এপ্রিল শুরু হয়ে বৈসাবি উৎসব চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে কোথাও কোথাও এ উৎসব চলে সপ্তাহ ধরে।

সারাদেশে একই নিয়মে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলেও পাহাড়ে ভিন্ন আমেজে আর উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় বৈসাবি। স্থানীয় বাঙালীরাও একাকার হয়ে মিশে যায় বৈচিত্রময় এ উৎসবে।

চলতি বছর উৎসব শুরুর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও পাহাড়ে নেই উৎসব আমেজ। থাকছে না বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে বৈসাবি উৎসবের শোভাযাত্রা আর খাগড়াছড়ির পানখাইয়াপাড়ার বটতলায় বর্ণিল জলকেলি উৎসব।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, করোনার কারণে গত বছর উৎসব পালন করতে পারিনি। এ বছরও করোনা পিছু ছাড়েনি। তবে এ মুহূর্তে উৎসব পালনের চেয়ে নিজেদের বেঁচে থাকাটাই জরুরি। তাই এ বছরও বৈসাবি উৎসবের কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না।

আমারসংবাদ/এআই