Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

রাস্তায় জ্যাম কেন, এ নিয়ে সংঘর্ঘে আহত ১৭

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

এপ্রিল ১২, ২০২১, ১০:০৫ এএম


রাস্তায় জ্যাম কেন, এ নিয়ে সংঘর্ঘে আহত ১৭

হাওর থেকে বোরো ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত হ্যান্ডট্রলি জ্যামে আটকে যাওয়ায় মেজাজ হারিয়ে অপর গাড়ির চালকে মারধর করেন অপু নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় একই গ্রামের দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার  (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের তেুতলিয়া গ্রামের বাঘাপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামায়। এসময় পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় দু'পক্ষের আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহতরা হলেন-তেুতলিয়া গ্রামের বাঘাপাড়ার সোহেল মিয়া (৩৫), এরশাদ মিয়া (৩২), রেহান মিয়া (৪৫), সুলতান মিয়া (৩০), শাহীন মিয়া (৪৩), শামীম মিয়া (৪৫), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৯), হাকিম মিয়া( ৪৬), আবের মা (৭৫), আয়েশা আক্তার (৪৫), দারগআলী (৫২), বাবুল মিয়া (৩৮), কাজল মিয়া (৩২)।

আর পশ্চিমপাড়ার অপু মিয়া (২৫), আনু মিয়া (২৪), মেহেদি হাছান ইদ্রিসী (৫৫) ও মাজু মিয়া (২৫) ।

মোহনগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মো. শহীদউল্লাহ জানান, আমরা ১৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। অনেকই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের এক্সরে করতে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যাদের ভর্তি করা দরকার ভর্তি করা হবে।

তবে হাসপাতালে হামলাকারী অপু গ্রুপের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের আঘাত সামান্য হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সবাই বাড়ি চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিন জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় তেুতলিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার অপু মিয়া (২৫) হ্যান্ডট্রলিতে করে হাওর থেকে বোরো ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গ্রামের বাঘাপাড়ায় তার হ্যান্ডট্রলিটি জ্যামে আটকে যায়। এসময় মেজাজ হারিয়ে জ্যামে আটকা অপর ট্রলির চালক বাঘাপাড়ার সুমন মিয়াকে লাথি মারধর করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। পরে ঘটনা মিটমাট হয়ে সবাই বাড়ি চলে যায়।

ওই ঘটনার জেরে সোমবার সকালে অপু মিয়া তার লোকজনসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাঘাপাড়ায় বাড়িঘর ও ধানের আড়তে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের রামদার আঘাতে ও ইটপাটকেলে কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় আহত হয় ১৩ জন।

এসব তথ্য জানিয়ে বাঘাপাড়ার মালেক মিয়া, হাসেম মিয়াসহ অন্যরা জানান, সকালে অপু তার লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের লোকজন তখন হাওরে ধান কাটছিল। আমরা প্রাণ বাঁচাতে শুধু প্রতিহত করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় তারা।

তবে অপর পক্ষের অপুর মামা মো. শহীদুল ইসলামসহ অন্যরা জানায়, অকারণে আমার ভাগ্নেকে মারধর করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই পাড়ার লোকজনই আমাদেরকে আগে হামলা করেছে।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ওসি  আবদুল আহাদ খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই