Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় অভিভাবকদের মারধর

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি 

এপ্রিল ১২, ২০২১, ০৩:০০ পিএম


ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় অভিভাবকদের মারধর

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীর মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে ইভটিজার মো. হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা মো. জামাল হাসান মিয়া রোববার (১১ এপ্রিল) বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, স্থানীয় ময়না এসি বোস ইনিস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) নিয়মিত শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেটে যাওয়ার সময় পথে-ঘাটে ময়না গ্রামের মিকাইলের ছেলে মো. হোসেন প্রেম নিবেদন, কুপ্রস্তাবসহ উত্যক্ত করতো। গত শনিবার বাড়ির সামনে গিয়েও উত্যক্ত করতে থাকলে ওই ছাত্রীর মা প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করার কারণে মো. হোসেন (২৫), মো. মিকাইল (৫২), মো. আশরাফ মোল্যা (৩৫), মো. মিঠুন মোল্যাসহ (২৭) অজ্ঞাত আরও ৫-৬জন সংঘবদ্ধভাবে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে, তার মাকে ও ভাইকে মারধর করে। 

এ সময় শোরগোল শুনে গ্রামের অন্য লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকরীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা ওই চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক রোববার বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়ে খুবই মেধাবী। ৫ম এবং ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে। তাই তিনটা প্রাইভেট পড়তে হয়। কিন্তু ছেলেরা যেভাবে বিরক্ত করা শুরু করেছে হয়তো মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে হবে। তার মেয়েটা যেন নির্বির্ঘে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সুশিল সমাজের নিকট তিনি সে দাবি জানান।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি চারবার অভিযান চালিয়েছেন আসামিদের ধরার জন্য। পুলিশি অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আসামিরা মধুমতি ব্রিজ পার হয়ে পাশের মহম্মদপুর উপজেলায় পালিয়ে যায়। যেহেতু ইভটিজিংয়ের বিষয় সেজন্য আসামি ধরতে পারলে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা বা নিয়মিত মামলা দেওয়া যেতো। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছেন বলেও তিনি জানান।

ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ছেলে ও তার সাথের লোকজন একটু বেয়াদপ টাইপের। তিনি চেয়েছিলেন দু'পক্ষকে নিয়ে বসে একটা মিমাংসা করে দিবেন। দারোগার সাথে কথা বলে বসার ব্যবস্থা করে ছেলেদের শাস্তি ও একটা সঠিক মিমাংসা করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস