শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ
এপ্রিল ১৩, ২০২১, ১০:৪৫ এএম
আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ। আর এর মাঝেই আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের পূর্বে আজ সিরাজগঞ্জের মার্কেট, শপিংমল ও বিপনিবিতান গুলোতে উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। মানা হচ্ছে না বিন্দুমাত্র স্বাস্থবিধিও। শহর জুড়ে বিপনি-বিতান গুলোতে যেন বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। শহরের প্রধান সড়কেও রিকশা ও পথচারীর দীর্ঘ যানযট। করোনা ভীতিকে দেখানো হচ্ছে বৃদ্ধাঙ্গুলি, ভাবা হচ্ছে অহসায়। তবে এতে ভাইরাস সংক্রমণের বড় সম্ভাবনা দেখছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়ক এস.এস.রোড এলাকাজুড়ে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। মানুষ যেন ঈদের শপিং করা নিয়ে ব্যাস্ত। কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই যে দেশ কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) মহামারির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে। কোথাও মানাও হচ্ছে না কোনো বিধি নিষেধ। অনেককেই আবার দেখা মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করতে।
রুহুল আমীন নামে এক ক্রেতা পরিবার নিয়ে এসেছেন শপিং করতে। তিনি প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে আমার সংবাদকে বলেন, আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) থেকে আগামী ২১ এপ্রিল (গভীর রাত) পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আসছে। জানি না এটা আরও বাড়বে কিনা বা করোনা পরিস্থিতির কি হবে। তাই অনেকটা পরিবারের চাপেই সবাইকে কি শপিংয়ে এসেছি।
ইসমাইল হোসেন নামে কাজীপুর থেকে আসা আরেকজন ক্রেতা বলেন, সিরাজগঞ্জে এসেছিলাম কিছু ব্যক্তিগত কাজে। তাই ভাবলাম পরিবারের জন্য কেনা কাটা গুলো শেষ করেই যাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী আমার সংবাদকে বলেন, আজ ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার কথা। সে অনুযায়ী চললেও ক্রেতা বেশি হওয়ায় সকল স্বাস্থবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যবসায়ীই দোকানে অতিরিক্ত মালামাল উঠিয়েছেন। এখন সেটা তো আর আজকের মধ্যে কোনভাবেই বিক্রি সম্ভব না তাই ব্যবসায়ীক লস নিয়েও শংকিত তারা।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায় আমার সংবাদকে বলেন, এতো জনসমাগমে যদি আক্রান্ত কোনো ব্যাক্তি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যাপকহারে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জে গত ২৪ঘন্টায় ৬০জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন নতুন করে কেও মারা না গেলেও আজ অবধি জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২০জন।
আমারসংবাদ/কেএস