Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

গভীর নলকূপের অভাবে চাষাবাদের বাইরে ১০০ একর জমি

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

এপ্রিল ১৫, ২০২১, ০৯:১৫ এএম


গভীর নলকূপের অভাবে চাষাবাদের বাইরে ১০০ একর জমি

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের কানকাটি গ্রামে সেচ সুবিধা না থাকায় প্রতিবছর পতিত থাকছে কমপক্ষে ১০০ একর জমি। এরফলে ১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না প্রতিবছর।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালে বিএডিসির মাধ্যমে সরকার এ এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছিল।গত ১৫ বছর যাবৎ গভীর নলকূপটি নষ্ট হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় দীর্ঘদিন যাবত এ এলাকার কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছে না।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ এবং বিএডিসির পক্ষ থেকে অনাবাদি এসব জমিতে সেচ সুবিধার আওতায় আনার জন্য এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় কৃষকেরা প্রতি বছর হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের কানকাটি গ্রামের ধলা বিলে প্রায় শত একর জমিতে সেচ সুবিধা না থাকায় কৃষকরা বোরো আবাদ করতে পারে না।

বেশ ক'জন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সেচ সুবিধা পেলে তারা প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এইসব পতিত জমিতে বোরো ধানের আবাদ করতে পারতো।

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক চান মিয়া জানান, আমাদের এই গ্রামে ১ টি গভীর নলকূপ ছিল, সেই গভীর নলকূপটি নষ্ট হওয়ার কারণে পানির অভাবে আমরা গত ১৫ বছর যাবত চাষাবাদ করতে পারছি না। 

তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি এই এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিবেন যাতে আমাদের জমি গুলি  চাষাবাদ করতে পারি।

সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম ভূইয়া হেভেন বলেন, কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের কানকাটি একটি প্রত্যন্ত এলাকা। এই এলাকায় গভীর নলকূপ না থাকায় কৃষকেরা দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করতে পারছে না। 

তাই এলাকার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এ এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। 

দুঃখের বিষয় গত ১৫-২০ বছর যাবত গভীর নলকূপটি নষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি এ এলাকায় একটি গভীর নলকূপের ব্যবস্থা হলে ১০০ একর জমি ধান চাষের আওতায় আসবে।

কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন বলেন, কানকাটি গ্রামে গভীর নলকূপ না থাকায় কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছে না। যার ফলে তারা দুঃখ কষ্টে দিনানিপাত করছে। এ গ্রামে ভালো এটেল মাটি রয়েছে। তাই একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলে প্রায় ১০০ একর জমি চাষবাদের আওতায় আসবে।

প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত অবস্থায় না থাকে। কিন্তু এ গ্রামে অনেক জমি পানির অভাবে পতিত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন অচিরেই এখানে একটি গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করা হয়।

আমারসংবাদ/এআই