Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

পাইকারদের দেখা নেই, মন খারপ লালমি-বাঙ্গি চাষিদের

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ১০:২৫ এএম


পাইকারদের দেখা নেই, মন খারপ লালমি-বাঙ্গি চাষিদের

লোক নেই বাজারে। লকডাউনের কারণে বাজারে লোক সমাগম সীমিত। আসছেন না পাইকাররা। দাম না পাওয়ায় হাসি নেই বাঙ্গি চাষীদের মুখে। তাই ফরিদপুরে খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি।

করোনা আর লকডাউনের কারনে চলতি বছর লালমি ও বাঙ্গির চাষ করে বেশ লোকসানের মধ্যে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষীরা। জেলার ৯ উপজেলার প্রায় স্থানে এর চাষাবাদ হলেও সবচে বেশি লালমি-বাঙ্গির আবাদ হয় সদরপুরের কৃষ্টপুর ও ভাষানচর ইউনিয়ন এলাকায়। অন্যবারের চেয়ে এ বছর রোজাকে সামনে রেখে অধিক জমিতে চাষীরা এর আবাদ করেছিলেন। ফলন আশাতিত হলেও একেবারে দাম না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে এসব লালমি-বাঙ্গি।  

চাষিরা জানান, গতবারও করোনা ছিল কিন্তু বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসেছিলেন। তারা ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লালমি-বাঙ্গি রপ্তানি করতো। এ বছর তাদের দেখা মিলছে না। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতেন লালমি-বাঙ্গি কিনতে, এবার তাদেরও খোঁজ-খবর নেই। তারা এখান থেকে কিনে নিয়ে দোকানে ও ভ্যানে করে তা বিক্রি করতেন। এবার সেই ব্যবসায়ীরাও আসছেন না। ক্রেতা শূন্য চাষীরা এবার বেশ লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে হতাশার সুরে জানান তারা।  

সদরপুর উপজেলার মটুকচরের চাষী রাজিব বেপারী জানান, এ বছর এক বিঘা জমিতে লালমী-বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। লকডাউনের কারণে এ বছর ঢাকা থেকে পাইকার না আশায় লালমী-বাঙ্গি বিক্রি করতে পারছি না।

কৃষ্টপুর এলাকার চাষী হান্নান মোল্যা জানান, গত বছর প্রকারভেদে একেকটি লালমি-বাঙ্গি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা এলাকার মোঃ হারুন হোসেন জানান, এবার ফলন ভালো হলেও পাইকারী ব্যাবসায়ীরা না আসায় এ ফসল চাষিরদের অবস্থা ভালো না।

ময়েনদিয়া এলাকার দুর্লব সাহা জানান, এবার করোনা-লকডাউনের কারনে বাঙ্গি নিয়ে খুব খারাপ অবস্থা। ফলন মুটামুটি ভালো হলেও খরচের টাকা উঠা নিয়ে টেনশনে আছি।

আমারসংবাদ/কেএস