Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ভৈরবে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে যান চলাচল

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম


ভৈরবে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে যান চলাচল

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে যান চলাচলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি। নিম্নমানের কাজে সেতু দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যান ও পথচারী চলাচল করছে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। 

তাই বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করার দাকি এলাকাবাসিদের। ভৈরবের শ্রী-নগরে বাউসমারা গ্রামে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দূযোর্গ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫শ ৫০ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোঃ ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স (প্রাঃ) লিঃ।

প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে আগানগর ও শ্রী-নগর এ ২টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত পথচারী ও সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইক ভৈরব শহরে যাতায়াত করে থাকে। 

সেতুটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের মানুষের অনেকটা কষ্ট লাঘব হয়েছিল। কিন্ত নিম্নমানের কাজ হওয়ায়  ৩/৪ বছরের মধ্যেই সেতুটি মাঝখান দিয়ে দেবে গেছে। 

উপজেলা প্রশাসন বলছে বন্যার পর যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তা নির্ণয় করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ।বরাদ্ধ পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে সেতুটির নিমার্ণ কাজ শুরু করা হবে।

শুধু তাই নয় সেতুর গার্ডার,রেলিংয়ের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সেতুটি দেবে গেছে। সেতুটির কাজ সিডিউল অনুযায়ী না হওয়ায় শুধু শুধু সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে। কালভার্ট সেতুটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে সেতুটি পূর্ণ নিমাণের্র দাবি স্থানীয়দের। 

শ্রী-নগর গ্রামের আঃ রহমান, নজরুল মিয়া,জহির মিয়াসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বন্যা বা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ ছাড়াই মাত্র ২/৩ বছরের মধ্যে সেতুটি মাঝ খান দিয়ে দেবে গেছে। সেতুটি নির্মাণে নিম্মমানের কাজ হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী রড,সিমেন্ট দেওয়া হয়নি। নিম্মমানের কাজ করে শুধু সরকারি টাকা লুট-পাট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভোক্তভোগী ইজিবাইক চালক সুজন মিয়া জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ায় যাত্রী নিয়ে সেতু পার হতে অনেক ভয় লাগে। যে কোন মূহুর্তে সেতুটি ভেঙে দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যেতে পারে।

ইজিবাইক যাত্রী আঃ খালেক মিয়া জানান, প্রতিদিন শ্রী-নগর-আগানগর ২ ইউনিয়নের ২/৩ শ সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইকে করে শত শত যাত্রী এ সেতু দিয়ে শহরের যাতায়াত করে। সেতুটি দেবে যাওয়ায় পার হতে অনেক ভয় লাগে। তাই দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, বন্যা পরিস্থিতির পরে যে সকল ব্রীজ এবং রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোর তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখানে গার্ডার ব্রীজের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি প্রসেসিংয়ে রয়েছে। যে কোন সময় টেন্ডার পাস হলে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান রাশেদ জানান, ত্রাণ ও দূযোর্গ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে  কালভার্ট সেতুটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে শ্রী-নগর ইউনিয়নের বাউসমারা গ্রামে নির্মিত হয়েছে। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। পাস হলে টেন্ডারের মাধ্যমে এখানে একটি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস