Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

নিত্যপন্যের দাম বাড়ায় আতঙ্কে স্বল্প আয়ের মানুষ

নারায়নগঞ্জ সদর প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০১:০৫ পিএম


নিত্যপন্যের দাম বাড়ায় আতঙ্কে স্বল্প আয়ের মানুষ

সস্তাপুর এলাকার গার্মেন্টস কর্মী আলাল মিয়ার পাঁচ সদস্যর বসবাস। ৪ বছরের ছোট শিশু কন্যাটি প্লেতে পড়ে। ৭ বছরের ছেলে ফাহিম তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। অভাব অনটনের কারণে ১৪ বছরের পুত্র সন্তান নাদিম একটি হোসিয়ারিতে চার হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন। আর আলাল মিয়া চাকরি করে দশ হাজার টাকা মাইনে এবলুম এ্যাপারেলসে। এই দুই উপার্জন ব্যক্তির মধ্যে তিন মাস ধরে চাকুরি নেই ছেলে ফাহিমের। এখন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি নিজেই। তার এই সামান্য আয়ে চলছে কোন রকম সংসার। তবে দফায় দফায় নিত্যপন্যের দাম যেভাবে বাড়ছে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তার। 

এরই মধ্যে সরকার এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন অপরদিকে মাহে রমজান। এ অবস্হায় যেভাবে নিত্যপন্যে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাবে কিভাবে তা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কে আছে পরিবারটি। আলালের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের এখন এমনই করুন অবস্হা।

এরই মধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউল, তেলের দাম দেদার্সে বেড়েই চলেছে। বেড়েছে শাকসবজির দাম। কমতি নেই মাছ,মাংস,দুধ,ডিমের দাম। এছাড়াও রমজানের খেজুর, মালটা, আপেল, তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া। 

এরই মধ্যে শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখাগেছে গত সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে চাউলের দাম প্রতি কেজি দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ভোজ্য তেলের।

সরজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬৮ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাউলের দাম ৪৮-৫০ টাকায় স্হিতিশীল রয়েছে।এছাড়াও সিম ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পোটল ৫০ টাকা ডেরশ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে তুলনা মূলক ভাবে দাম বেশী লম্বা বেগুনের। লম্বা বেগুনের দাম আগের চেয়ে ও দ্বিগুন। এক কেজি বেগুনের দাম ৮০-১০০।

এদিকে কাচা মরিচের দাম গত সপ্তাহে এক কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হলে ও এসপ্তাহে ৬০ টাকা। তবে ধনে পাতার দাম চওড়া প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গাজর ৩০ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সব মিলিয়ে আজ কাচা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে বেশীর ভাগ সবজির প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

দিগু বাজারের আড়ৎদার আ: কাদির মিয়া জানান,  বাজারে পেয়াজের দাম তেমন একটা বাড়ে নাই। বাজারে দেশী পেয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা। তবে আমদানি করা পেয়াজ মানবেধে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আলু এক পাল্লা ৮৫-৯০ টাকা।

এদিকে প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১২৫ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখাযায়। বাজারে মাছের সরবরাহ তুলনা মূলক ভাবে স্হিতিশীল রয়েছে। ফার্মের মুরগীর দিমের দাম প্রতি হালি ৩০ টাকা। যা আগের চেয়ে ২ টাকা কম দাম। 

কালিবাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজিসহ কিছু কিছু জিনিসের দাম কম থাকলে ও চাউল ও তেলের দাম নাগালের বাহিরে তাই নিত্য পন্যর দাম মানুষের হাতের নাগালে আনার জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।

আমারসংবাদ/কেএস